|
|
|
|
সংঘর্ষ ভবানীপুরে |
হিংসা রুখতে নতুন নিয়মে ছাত্রভোট নয়া শিক্ষাবর্ষেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে হিংসার কারণ মূলত ছাত্রভোট। সেই নির্বাচনে হাঙ্গামা রুখতে নতুন নিয়মের কথা ভাবা হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষেই সেই নতুন নিয়মে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভোট হবে বলে বুধবার আশা প্রকাশ করেছেন উচ্চশিক্ষা দফতরের সচিব সতীশ তিওয়ারি। তিনি এ কথা জানানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপি-র সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ভবানীপুর এলাকায়।
এ দিন মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের একটি আলোচনাসভায় তিওয়ারি বলেন, “২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে গঠিত লিংডো কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচন করার জন্য নতুন আইন তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মতামত চেয়েছি।” জুনের মধ্যেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামতের ভিত্তিতে নতুন আইনের খসড়া তৈরি হয়ে যাবে বলে জানান তিওয়ারি। সে-ক্ষেত্রে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী বছরের ভোটে নতুন আইনই কার্যকর হবে।
গত কয়েক মাসে এ রাজ্যে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরপর ছাত্র সংঘর্ষ বা অধ্যক্ষ-নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে। এই ধরনের বেশির ভাগ ঘটনারই পিছনে আছে ছাত্র সংসদের নির্বাচন। ভোটে ছাত্র সংসদের ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টায় হাঙ্গামা বাধানো হচ্ছে। রায়গঞ্জ, মাজদিয়া, রামপুরহাট-সহ রাজ্যের বেশ কিছু কলেজের অধ্যক্ষেরা ছাত্রদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। বেশির ভাগ ঘটনার পিছনেই অভিযোগের তির শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। এ-সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন সংক্রান্ত আইন ঢেলে সাজার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। নতুন আইন তৈরির লক্ষ্যে দিন পনেরো আগে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে নতুন আইনের বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।
কিন্তু ছাত্র-সংঘর্ষের বিরাম নেই। বুধবার রাতে ভবানীপুরে সংঘর্ষ হয় ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে। দুই ছাত্র সংগঠনই পরস্পরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মারধরের অভিযোগ জানিয়েছে। ছাত্র পরিষদের কয়েক জন সমর্থকের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে টিএমসিপি। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “ছাত্র পরিষদের এক দল সমর্থক আশুতোষ কলেজের হস্টেলে ঢুকে আমাদের ছেলেদের মারধর করেছে। তাদের মধ্যে কলেজের ছাত্রেরা ছাড়াও কয়েক জন বহিরাগত কংগ্রেস সমর্থকও ছিল। আমরা ওদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি।” আর রাজ্য ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “টিএমসিপি-রই কিছু ছেলে হঠাৎ হস্টেলে ঢুকে ছাত্র পরিষদের নামে আজেবাজে কথা বলতে শুরু করে। আমাদের সমর্থকদের গালিগালাজ, মারধর করা হয়। তাতেই উত্তেজনা ছড়ায়।” |
|
|
|
|
|