|
|
|
|
সিদ্দিকুল্লার ভরসা মমতায়, আশ্বাসের ফোন মুখ্যমন্ত্রীরও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সম্পাদক তথা পিডিসিআই নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বুধবার যখন ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি ‘ভরসা’ রাখার কথা বলছেন, তখন তাঁর মোবাইলে ফোন করে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই আশ্বাস দিলেন, সরকার তাঁদের ‘পাশে’ আছে। একই সঙ্গে সিদ্দিকুল্লাও তৃণমূলের সঙ্গে পিডিসিআইয়ের জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন না। |
|
মোবাইলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন সিদ্দিকুল্লা। বুধবার ধর্মতলায়। নিজস্ব চিত্র |
ধর্মতলায় এ দিন জমিয়তের সমাবেশ থেকে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ-সহ ছ’দফা দাবি তোলা হয়। তবে সেগুলি নিয়ে জমিয়তে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে যাওয়ার কথা বলছে না। বরং, সিদ্দিকুল্লা তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “বামফ্রন্ট সরকারকে ৩৪ বছর দেখেছি। নতুন সরকার ৩৪ বা ৪০ সপ্তাহও হয়নি। যে কথা চার বছর পরে বলা দরকার, তা এখন বললে ভুল হবে। আমরা এমন কোনও ভুল বার্তা দিতে চাই না যে, জমিয়তে আলোচনার টেবিলে বসতে চায় না। কেবল লড়াই চায়। ফলে আমরা আশা করছি, বিশ্বাস করছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিমদের সংরক্ষণ দেবেন।” সিদ্দিকুল্লার এই বক্তৃতার মাঝপথে তাঁর মোবাইলে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ফোনে কথা সেরে বক্তৃতায় ফিরে সিদ্দিকুল্লা বলেন, “আমি আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলাম। তখন তিনি ব্যস্ত থাকায় ফোন ধরতে পারেননি। এখন তাঁর আপ্ত সহায়ক মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে ধরিয়ে দিলেন। আমরা আশা করেছিলাম, তাঁদের মন্ত্রিসভার কাউকে এই সভায় পাব। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, সবাই ব্যস্ত। তবে এটাও বললেন, তাঁরা আমাদের সঙ্গে আছেন। আমাদের সঙ্গে বসবেন। দাবি রাখতে এবং কাজ করতে বললেন। জানালেন, সব পেয়ে যাব।” বস্তুত, সিদ্দিকুল্লা চেয়েছিলেন,
মুখ্যমন্ত্রীর কোনও প্রতিনিধি ওই সভায় এসে তাঁদের দাবিপত্র নিয়ে যান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানান, ব্যস্ততার জন্য তা সম্ভব হল না। তবে তাঁদের দাবি সরকার বিবেচনা করছে।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পিডিসিআই কি তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যাবে? সিদ্দিকুল্লার জবাব, “রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু হয় না। আমরা পথ চলতে শুরু করেছি।” এ দিনের সমাবেশে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করেন জমিয়তের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ মাদানিও। |
|
|
|
|
|