|
|
|
|
যুবক খুন বীরনগরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। বুধবার সকালে নদিয়ার বীরনগরের চণ্ডীতলার একটি আমবাগান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বীরকুমার হালদার (৩০)। বাড়ি কালীনারায়ণপুরের পাহাড়পুর গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে তাহেরপুর থানার পুলিশ ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহটি রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের মাথার ডানদিকে গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছেই বীরকুমারের সাইকেলটিও উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের দাদা লক্ষ্মণ হালদার বলেন, “বাজারে যাওয়ার নাম করে মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। বুধবার সকালে খবর পাই কালভার্টের পাশে ভাইয়ের সাইকেলটি রাখা আছে। তারপর খোঁজখবর করে খানিকটা দূরে আমবাগানের মধ্যে থেকে ওর মৃতদেহ পাওয়া যায়। ওর কোনও শত্রু আছে বলে আমি জানি না।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে বাইরের কিছু যুবক মোটরবাইক নিয়ে গ্রামে আসে। বারবার গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করে, স্কুল ছাত্রী, মহিলাদের উত্যক্ত করে। এ দিনও এসেছিল। অন্য গ্রামবাসীদের সঙ্গে বীরকুমারবাবুও প্রতিবাদ করেছিলেন। |
|
নিজস্ব চিত্র |
অভিযোগ, চলে যাওয়ার সময় ওই যুবকেরা শাসিয়ে যায়। কালীনারায়ণপুর-পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের গৌরাঙ্গ মোদক বলেন, “মনে হচ্ছে ওই যুবকেরা খুনের সঙ্গে জড়িত।” বীরনগরের পুরপ্রধান কংগ্রেসের পার্থ চট্টেপাধ্যায় বলেন, “ওই যুবকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মহিলাদের রাস্তায় চলা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’’ তবে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও রানাঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, “নিহত যুবক আমাদের দলের সমর্থক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই খুন করেছে।” তাপসবাবু বলেন, “মূল ঘটনা আড়াল করার জন্য মহিলাদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদের প্রসঙ্গটি তুলছেন কিছু রাজনৈতিক নেতা।” এর উত্তরে সিপিএমের রানাঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক সনৎ সেনগুপ্ত বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি যতদূর জানি ওই খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।” রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, “কী কারণে ওই খুন হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|