|
|
|
|
কাজ ফেলে ভোজ প্রশাসনিক ভবনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
সহকর্মীর ছেলের চাকরি পাওয়ার আনন্দে জেলা সচিবালয়ের মধ্যেই প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে কাজকর্ম থামিয়ে ভুরিভোজের আয়োজন করা হল। বুধবার কৃষ্ণনগরে জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ের মধ্যে ট্রেজারি ২ দফতরের কর্মীদের এই আচরণ জেলা প্রশাসনের কর্তারা ভাল চোখে দেখছেন না। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শ্রীকুমার চক্রবর্তী বলেন, “এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। এমনটা কখনওই হতে পারে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” |
 |
নিজস্ব চিত্র |
এই দুপুর ২ টো থেকে প্রায় পৌনে তিনটে পর্যন্ত টেবিলে পাত পেতে মাংস-ভাত খান ওই দফতরের প্রায় ৩০ জন কর্মী। সপ্তাহের মাঝখানে কাজের দিনে কর্মব্যস্ত সময়ে তাঁদের এই কাণ্ড দেখে জেলা সচিবালয়ের অন্য দফতরের কর্মীরাও ক্ষুব্ধ। এই গোটা সময়টা দূরদুরান্ত থেকে আসা বহু মানুষ কাজের জন্য এসে দাঁড়িয়ে থাকেন। সচিবালয়ের অন্য একটি দফতরের এক কর্মী বলেন, “যাঁরা এ ভাবে খাওয়া-দাওয়া করেছেন, তাঁরা ভুলে গিয়েছেন যে, জেলা প্রশাসনিক ভবনের এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দফতর। প্রতিদিন বহু মানুষ বাইরে থেকে এই দফতরে আসেন। যে ভাবে কাজকর্ম না করে ফাইলপত্র সরিয়ে খাওয়া দাওয়া করা হল, তা খুবই দৃষ্টিকটূ ও অন্যায়।”ওই ট্রেজারি ২ দফতরের আধিকারিক পল্লবেন্দু সাহা বলেন, “আমাদের দফতরের এক কর্মীর ছেলে চাকরি পেয়েছেন, সেই আনন্দেই তিনি সহকর্মীদের খাইয়েছেন।” এ ভাবে কাজের সময়ে খাওয়া-দাওয়া করা যে ঠিক হয়নি, তা স্বীকার করে নেন তিনি। তাঁর অবশ্য বক্তব্য, “তবে তার জন্য কাজের কোনও ক্ষতি হয়নি। কাউকে দাঁড়িয়েও থাকতে হয়নি।” |
|
|
 |
|
|