|
|
|
|
মেলায় বিক্রির রেকর্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
ভেদ-বিভেদ দুরে সরিয়ে রেখে ৩১তম মুর্শিদাবাদ জেলা বইমেলা একটি মিলন মেলায় রূপান্তরিত হল। রাজনৈতিক মঞ্চে সাপে-নেউলে সর্ম্পক থাকলেও বইমেলার উদ্বোধনী মঞ্চে তৃণমূলের মন্ত্রী সুবত সাহা ও সদ্য বিদায়ী মন্ত্রী কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী পরস্পরের কুশল বিনিময় করেন। উদ্বোধনী রাতেই হাজির হন সাংসদ মান্নান হোসেন। মেলার শেষ দিনে আসেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের পূর্ণিমা দাস। তার আগের দিন আসেন মৎস্যমন্ত্রী আবু হেনা। জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় মিত্র বলেন, “এ বারের বই বিক্রি ও দর্শকের সংখ্যা সব রের্কড ছাপিয়ে গিয়েছে। বই বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকার ও দর্শকর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি।”
বই প্রকাশের নিরিখেও রের্কড গড়েছে এ বারের বইমেলা। বইমেলার শেষ লগ্নেও পুস্তক ও পত্রিকা প্রকাশের বিরাম ছিল না। মেলার প্রথম তিন দিনে মুর্শিদাবাদের মতো মফস্বল শহর থেকে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা অন্তত কুড়ি। শেষ তিন দিনে প্রকাশিত পুস্তক ও পত্রিকার সংখ্যাও অন্তত ১০। মুর্শিদাবাদের ওই সাহিত্য সম্পদকে সমৃদ্ধতর করেছে বহরমপুরের দুই চিত্রশিল্পী কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত ও সমীরণ ঘোষের আঁকা অন্তত ১০টি বই-এর কাব্যময় প্রচ্ছদ। বহরমপুরের বইমেলার শেষার্ধে আমজাদ হোসেনের কাব্যগ্রন্থ ‘ভোরের আকাশ’ প্রকাশ করেন কবি নাসের হোসেন। কুশলকুমার বাগচী সম্পাদিত ‘মুর্শিদাবাদ জেলা কবিতা অ্যাকাদেমি’র মুখপাত্র ‘শব্দমৌলি’র বইমেলা সংখ্যা প্রকাশ করেন কবি অরূপ চন্দ্র। সমরেন্দ্র রায় সম্পাদিত ‘সমিধ’ পত্রিকার বইমেলা সংখ্যার প্রকাশ করেন কবি নিখিল সরকার। রাজেন গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত বইমেলা সংখ্যা ‘অন্তিক’ উদ্বোধন করেন কবি সমীরণ ঘোষ। কবিরুল ইসলাম কঙ্ক সম্পাদিত ‘প্রতিচ্ছবি’, রহিম শেখের ছড়ার সংকলন ‘ছোটদের কলতান’, আর্জিনা মবিনের ছোটগল্পের সংকলন গ্রন্থ ‘ক্ষুধার রাজ্যে’ প্রকাশিত হয়েছে। অন্ত্যজদের নিয়ে কবি নুরুল আমিন বিশ্বাসের লেখা গবেষণাধর্মী ৪টি দীর্ঘ প্রবন্ধের সংকলন গ্রন্থ ‘অন্ত্যজবর্গীয় উপাখ্যান’ প্রকাশিতও হয়। দুই লেখিকা সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুফিয়া বেগমের দু’টি প্রবন্ধ সংকলন মুর্শিদাবাদ জেলা বইমেলা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। |
|
|
|
|
|