রবিন দত্তের বেয়ার লেভারকুসেনকে জার্মানিতেই ৩-১ উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রায় চলেই গেল বার্সেলোনা। নৌ কাম্পে ফিরতি ম্যাচে মেসিদের ৩ গোলে হারানোর স্বপ্ন এখন কেউ দেখে না।
বল পজেশন প্রায় ৭৫ ভাগ ছিল মেসিদের। বহু দিন বাদে মেসিকে স্বমহিমায় দেখা যায়। তিনি ও আলেক্সি সাঞ্চেজ মিলে ত্রাসের সৃষ্টি করেন লেভারকুসেন বক্সে। কিন্তু পুরো দলের সেই পরিচিত সৃষ্টিশীলতা ছিল না। যা ম্যাচের পরে মেনে নেন সেস ফাব্রেগাস। |
বিরতিতে সাঞ্চেজের গোলে ১-০ এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। গোলের রাস্তা দেখান মেসি। বিরতির পরেই ১-১ করে দেন চেক ডিফেন্ডার মাইকেল কাডলেক। ফাব্রেগাসের পাস থেকে সাঞ্চেজ ২-১ করেন। ২ মিনিট বাকি থাকতে মেসি নিজেই অসাধারণ গোল করেন দানি আলভেসের সাহায্যে।
মরসুমে ৩৮ গোল হল। ২০টি গোল করালেন। ম্যাচের পরে মেসি স্বীকার করেন, তিনি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। “গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে আমরা প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম ম্যাচটা কোনও দিন জিতিনি। তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা জানতাম, জার্মানদের বিরুদ্ধে খুব কঠিন হবে ম্যাচটা।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নক আউটে ১৯ গোল করে নতুন রেকর্ড গড়লেন মেসি। টপকে গেলেন রাউল ও শেভচেঙ্কোকে। মেসির কথায়, “গোল করা খুব তৃপ্তির ব্যাপার। কিন্তু আমাদের আরও তৃপ্তি, ম্যাচ জেতা।” তাঁর সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল হল ৪৪টি। সর্বকালের তালিকায় ছয় নম্বরে। রাউল (৭১), নিস্তেলরুই (৫৬), অঁরি (৫৫) শেভচেঙ্কো (৪৮), ইনজাঘির (৪৬) পরেই। |
দুই কোচ গুয়ার্দিওলা এবং রবিন দত্ত, দু’জনেই খুশি দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে। রবিন বলেন, “আমাদের রক্ষণ প্রথমার্ধে খুব ভাল খেলেছিল। কিন্তু সাহসের সামান্য অভাব ছিল। বার্সেলোনাকে একটু বেশি সমীহই করে ফেলি। বিরতির পরে আমরা নিজেদের ফুটবল খেলায় ওদের সমস্যায় ফেলে দিই।”
অন্য ম্যাচে ফ্রান্সের অলিম্পিক লিঁও ১-০ হারায় সাইপ্রাসের এপিও ইএল নিকোসিয়াকে। |