ব্যস্ত থাকতেন চোর ডাকাত ধরতে। সশস্ত্র ডাকাতি, ড্রাগ মাফিয়া, চোরাকারবারি, সকলের সঙ্গেই লড়তে হত তাঁকে। কুইন্সল্যান্ড পুলিশের সাদা পোশাকের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘ আট বছর। একই সঙ্গে খেলতেন ক্রিকেটও। ইনি ৪১ বছর বয়সি অস্ট্রেলীয় জো ডস, ভারতের নতুন বোলিং কোচ। একটিও টেস্ট খেলেননি, কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আছে ২৮৫টি উইকেট। এখন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বোলিং কোচ। পুলিশ কর্মী ছিলেন বলে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটমহলে তাঁর নাম ওয়ালপস। যা ও দেশে পুলিশদের বলা হয়।
২১ বছর বয়সে পুলিশের চাকরিতে ছিলেন ডস। ২৭ বছর বয়সে প্রথমবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেন। বলছেন, “পুলিশের চাকরি উপভোগ করতাম। ডাকাতি, ড্রাগ, চোরাকারবার, সব সামলাতে হত। কিন্তু কাজটা উপভোগ করতাম। এই কাজ করে জীবন সম্পর্কে অনেক শিখেছি। ক্রিকেট ছিল অনেকটা পরিপূরকের মতো। ক্রিকেট আর চাকরির মধ্যে ব্যালান্স করে চলতাম।”
ভারতের বর্তমান ফিল্ডিং কোচ ট্রেভর পেনি এক সময় ডসের সহকারী হিসেবে কুইন্সল্যান্ডের হয়ে কাজ করেছেন। ভারতের কোচ ডানকান ফ্লেচারের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক ডসের। চলতি অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত অধিনায়ক ধোনির সঙ্গেও কথা হয়েছে ডসের। অস্ট্রেলিয়া সফরের পরে এশিয়া কাপ থেকেই ডস দায়িত্ব নেবেন নাকি আইপিএল শেষ হওয়ার পরে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে তাঁর সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি বোর্ডের। বলেছেন, ‘‘ভারতের বোলিং কোচের দায়িত্ব পাওয়া বড় সম্মান। ভারতের বোলিংয়ের রসদ নিয়ে ততটা জানি না, যদিও এমআরএফ পেস অ্যাকাডেমিতে বেশ কয়েকবার গিয়েছি। ওখানে ভাল ভাল প্রতিভা দেখেছি। ইশান্ত শর্মা বা উমেশ যাদবের মতো বোলাররা খুব ভাল। ওদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভাল লাগবে।” |
টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই বলে নিজেকে খাটো করে দেখছেন না ডস। বরং বলছেন, “ভারতীয় দলে টেস্ট অভিজ্ঞতার অভাব নেই। আমার কাজ হবে বোলিং নিয়ে আমার যেটুকু জানা আছে, তা টিমকে সরবরাহ করা। আমার ভাবনা এবং অভিজ্ঞতার সবটুকু টিমকে দিতে চাই।” এর আগে চারবার ভারতে এসেছেন ডস। শেষবার এসেছেন গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সময় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া টিমের বোলিং কোচ হিসেবে। বলছেন, “কোচিং সব সময়ই বেশ চাপের একটা চাকরি। বিশেষ করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোচিং। ভারত দেশটা দারুণ, বরাবর উপভোগ করেছি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অঙ্গ হতে পারাটা দারুণ সুযোগ। আমি জানি এর সঙ্গে প্রচুর প্রত্যাশা জড়িয়ে আছে। এই চাপ সামলে আরও কিছু দেওয়ার আত্মবিশ্বাস না থাকলে চাকরিটা নিতাম না।” |