আচমকা অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। সেটাও মাত্র একটা ম্যাচে মাইকেল ক্লার্কের জায়গায় কে নেতৃত্ব দেবেন তা নিয়ে। শুক্রবার সিডনিতে ত্রিদেশীয় এক দিনের টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থাকায় খেলতে পারবেন না ক্লার্ক। তাঁর জায়গায় অস্ট্রেলীয় নির্বাচকেরা রিকি পন্টিংকে ওই ম্যাচের অধিনায়ক বেছেছেন। যা দেখে স্টিভ ওয়ের মতো প্রাক্তন অধিনায়কও এক হাত নিয়েছেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট প্রশাসকদের। বিস্মিত স্টিভ প্রশ্ন তুলেছেন, ডেভিড ওয়ার্নারকে তা হলে এক দিনের দলের সহ-অধিনায়ক করার কী মানে? যদি এই সময়ে তাঁকে নেতৃত্বের দায়িত্ব না দেওয়া হয়! “আমি জানি রিকি চোখ বন্ধ করে কাজটা করে দেবে। কিন্তু অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ তো ডেভিড ওয়ার্নার। রিকি পন্টিং নয়। আমি খুব অবাক হয়েছি দেখে যে, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ওয়ার্নারকে এই ম্যাচের অধিনায়ক করা হল না,” বলেছেন স্টিভ। সঙ্গে যোগ করেছেন, “আমি জানি এই বদলটা সাময়িক। কিন্তু ওয়ার্নারকে যখন সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে তখন ধরে নিতে হবে ওকে ভবিষ্যতে অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য ভাবা হচ্ছে। তা হলে ও কেন নেতৃত্ব দিতে পারবে না? নাকি ওরা ভেবেছে ওয়ার্নার এখনও তৈরি নয়? তা হলে আমার প্রশ্ন, ওকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে কেন? আমি একেবারেই কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।”
শুধু অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের সবথেকে সফল অধিনায়কদের এক জন হওয়ার জন্য নয়। স্টিভের বক্তব্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে কারণ তিনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া-পরিচালিত সেই রিভিউ প্যানেলের অন্যতম সদস্য ছিলেন যা তাঁদের দেশের ক্রিকেটের বিপর্যয় অনুসন্ধানে নেমেছিল। ওয়ার্নার নিজে যদিও জানিয়েছেন, অধিনায়কত্ব করতে হচ্ছে না বলে তিনি খুশি। তার কারণ ওয়ান ডে ক্রিকেটে এখনও তিনি অনভিজ্ঞ। মাত্র ১৩টা ম্যাচ খেলে ২৬৮ রান করেছেন। গড় ২০.৬১। চলতি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টেও দুর্ধর্ষ কিছু ফর্মে তিনি নেই। “জন ইনভেরারিটি আমাকে ঠিক এই কথাটাই বুঝিয়েছেন যে, আমাকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে যাতে মাইকেল ক্লার্কের অধীনে থেকে নিজেকে আস্তে আস্তে তৈরি করতে পারি। তার পর এক দিন আশা করা যায় আমি অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেব,” বলেছেন ওয়ার্নার। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের পরেও সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার নেতা-নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক থামছে না। স্টিভ শুধু পন্টিংকে অধিনায়ক করা নিয়ে নয়, প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট প্রশাসক এবং নির্বাচকদের বিভ্রান্তিকর মনোভাব নিয়েও। যেমন বলেছেন, “ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুতে বলা হল ব্র্যাড হাডিনকে নাকি বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। অথচ এখন মনে হচ্ছে ওকে বসানোই হয়েছে। ম্যাথু ওয়েড খেলে যাচ্ছে। হাডিনকে যদি বিশ্রামই দেওয়া হবে তা হলে এখন ফেরানো হচ্ছে না কেন? এই ধরনের কথাবার্তায় খুব মিশ্র সংকেত পৌঁছচ্ছে। হাডিন টেস্ট টিমের সহ-অধিনায়ক। ও থাকলে তো সিডনির এই ম্যাচটায় দলকে ও-ই নেতৃত্ব দিতে পারত।” হাডিন নিজেও তাঁর ভবিষ্যৎ বুঝে গিয়েছেন। “আমাকে এখনও ওয়ান ডে টিমে ফেরত নেওয়া হয়নি আর দেখেশুনে মনে হচ্ছে না ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে,” বলেছেন হাডিন। |