টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে চাকরি থাকবে কি না নিশ্চিত নয়। কিন্তু চলতি কমনওয়েলথ ব্যাঙ্ক ত্রিদেশীয় ওয়ান ডে সিরিজে বিশ্বের সেরা ফিনিশার হিসেবে আলোচিত হচ্ছেন ধোনি। গত রাতে শেষ বলে ভারতের দরকার ছিল চার। সেখানে ধোনি চার প্রায় মেরেই দিয়েছিলেন। ম্যাচ শেষে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক জয়র্ধনে বলেছেন, “ধোনি একজন গ্রেট ফিনিশার। যা আজকের ক্রিকেটে বিরল। অসম্ভব ঠান্ডা মাথা, ভীষণ কঠিন চরিত্রের ছেলে। ও বলেই ম্যাচটা টাই করতে পেরেছিল।” বিশ্ব ক্রিকেটে সেরা ফিনিশার হিসেবে বিবেচিত মাইকেল বিভান, ল্যান্স ক্লুজনার, আব্দুর রজ্জাক বা জন্টি রোডস, কারও ব্যাটিং গড় ধোনির ধারে-কাছে নেই। তাঁর খেলা ২০০টি এক দিনের ম্যাচে ৫০ বার নট আউট ছিলেন ধোনি। রান করেছেন ৬৬৩২, স্ট্রাইকরেট ৮৮.৩২। সেখানে মাইকেল বিভানের স্ট্রাইকরেট ৭৪.১৬। |
ওয়ান ডে ক্রিকেটার ধোনি সম্বন্ধে দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। বলেছেন, “ধোনির জাতই আলাদা। ওর পরিসংখ্যানই এটা বলে দিচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ১৩ দরকার ছিল। কাজটা সহজ নয়। ও ম্যাকেকে যে ছয়টা মেরেছিল, এক কথায় অসাধারণ। বল মারায় অসম্ভব দক্ষ না হলে ওই শট মারা যেত না।” ধোনি স্বয়ং মনে করছেন, ওয়ান ডে ক্রিকেটে ফিনিশারের কাজটা সব সময় শক্ত। “ছয় নম্বরে নিয়মিত ভাবে এই কাজটা করত যুবরাজ। এই জায়গায় ব্যাট করা কঠিন।” তা হলে তাঁর সাফল্যের রহস্য কী? ধোনির জবাব, “মালিঙ্গার হাতে খুব ভাল একটা ইয়র্কার আছে। আছে ভাল স্লোয়ারও। আমি অশ্বিনকে বলেছিলাম, আগে থেকে কিছু ভেবে না রাখতে। আমি চেয়েছিলাম মাথা ফাঁকা রাখতে। যেমন বল আসবে, তেমন মারব। ঠিক তাই করতে চেয়েছিলাম।” প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল বলছেন, “বিশ্বকাপ ফাইনালে ধোনির ঠান্ডা মাথা ভারতকে জিতিয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় উইকেটে ম্যাচ জেতানো আর অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে ম্যাচ জেতানো এক জিনিস নয়। টেস্ট সিরিজে যাই হোক না কেন, ওয়ান ডে সিরিজে সবাই আসল ধোনিকে দেখতে পাচ্ছে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে ওর কোনও তুলনা নেই।” |
ওস্তাদের মার
রান তাড়া করে ধোনির সেরা পাঁচ |
৯১ ন.আ.
বনাম শ্রীলঙ্কা |
মুম্বই,
এপ্রিল ২০১১ |
শ্রীলঙ্কা ২৭৪-৬, ভারত ২৭৭-৪
(৪৮.২ ওভারে) |
১৮৩ ন.আ.
বনাম শ্রীলঙ্কা |
জয়পুর,
অক্টোবর ২০০৫ |
শ্রীলঙ্কা ২৯৮-৪, ভারত ৩০৩-৪
(৪৬.১ ওভারে) |
৭২ ন.আ
বনাম পাকিস্তান |
লাহৌর,
ফেব্রুয়ারি ২০০৬ |
পাকিস্তান ২৮৮-৮, ভারত ২৯২-৫
(৪৭.৪ ওভারে) |
৪৪ ন.আ.
বনাম অস্ট্রেলিয়া |
অ্যাডিলেড,
ফেব্রুয়ারি ২০১২ |
অস্ট্রেলিয়া ২৬৯-৮, ভারত ২৭০-৬
(৪৯.৪ ওভারে) |
৫৮ ন.আ
বনাম শ্রীলঙ্কা |
অ্যাডিলেড,
ফেব্রুয়ারি ২০১২ |
শ্রীলঙ্কা ২৩৬-৯
ভারত ২৩৬-৯ |
|
বোলার তুলতে বোর্ডের উদ্যোগ: সারা দেশে বোলারদের দৈন্য মেটাতে এ বার নতুন উদ্যোগ নিল ভারতীয় বোর্ড। জাতীয় অ্যাকাডেমির মাধ্যমে দেশের কয়েকটি জায়গায় তারা ওপেন ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত ঠিক হয়েছে, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, ছত্তিশগড় এই চারটি জায়গায় শিবির হবে আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে। সতেরো থেকে বাইশ বছরের ছেলেরাই শুধু শিবিরে আসতে পারবে। বোর্ডের কোনও টুর্নামেন্ট খেলেছে এমন বোলার আসতে পারবে না। পেসার এবং স্পিনার দু’ধরনের শিবিরই হবে। শিবির থেকে প্রতিভাবান বোলার বাছার দায়িত্বে থাকছেন করসন ঘাউরি এবং যোগীন্দর পুরি। হিমাচল প্রদেশে শিবির ১৮ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি। জম্মু-কাশ্মীরে ২২ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি। ঝাড়খন্ডে ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি। ছত্তিশগড়ে ২৮ এবং ২৯ ফেব্রুয়ারি। |