|
|
|
|
জিএসএম সংস্থাকে বাড়তি স্পেকট্রাম নয়া টেলিকম নীতিতে |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
নয়া টেলিকম নীতির অঙ্গ হিসেবে পুরনো জিএসএম সংস্থাগুলিকে বাড়তি স্পেকট্রাম দেওয়া হবে বলে আজ জানালেন কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী কপিল সিব্বল। পাশাপাশি, খোলা বাজার থেকে তাদের আরও স্পেকট্রাম সংগ্রহের সুযোগ দিতে সরল করা হয়েছে অধিগ্রহণ ও সংযুক্তি সংক্রান্ত নীতি। সব সংস্থার কাছ থেকে অভিন্ন হারে লাইসেন্স ফি আদায়ের নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্র। এই সঙ্গেই বরাদ্দ স্পেকট্রাম অনুযায়ী লাইসেন্স ফি ধার্য করার নীতি থেকে সরে এল কেন্দ্র। ২০০৮ সালে ইস্যু করা ১২২টি টু-জি লাইসেন্স সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করার পরিপ্রেক্ষিতেই এই নয়া নীতি ঘোষণা করল কেন্দ্র।
পুরনো নীতি অনুসারে জিএসএম সংস্থাগুলির ৬.২ মেগাহার্ৎজ পর্যন্ত স্পেকট্রাম ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে। নতুন নীতিতে তারা মুম্বই এবং দিল্লিতে ১০ মেগাহার্ৎজ পর্যন্ত এবং বাকি শহরগুলিতে ৮ মেগাহার্ৎজ পযর্ন্ত স্পেকট্রাম ব্যবহার করতে পারবে। ১০ বছরের জন্য এই ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
কোনও সংস্থা যদি এর চেয়ে বেশি স্পেকট্রাম হাতে পেতে চায়, তা হলে খোলা বাজার থেকে তা কিনতে হবে। অন্য সংস্থা অধিগ্রহণ বা তার সঙ্গে সংযুক্তি মারফত তা সম্ভব হবে। এর জন্যই ওই সংক্রান্ত নিয়মও সরল করেছে কেন্দ্র। যৌথ সংস্থাটির বাজার দখল সে ক্ষেত্রে ৩৫% পর্যন্ত হলেও আপত্তি করবে না কেন্দ্র। তবে লাইসেন্স একত্রীকরণের উপর যে ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে, তা মেনে চলতে হবে। সেই নিয়ম মেনেই নিলাম হবে টেলিকম লাইসেন্স। এই সিদ্ধান্তের ফলে কম দামে পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ মেলায় গ্রাহকরা উপকৃত হবেন বলে টেলিকমমন্ত্রী কপিল সিব্বল আজ জানিয়েছেন।
অন্য দিকে সংস্থাগুলির কাছ থেকে বিভিন্ন পরিষেবা খাতে তাদের আয়ের ৮ শতাংশ বার্ষিক লাইসেন্স ফি বাবদ নেওয়া হবে। এখন তা ৬ থেকে ৮ শতাংশ হলেও এ বার থেকে অভিন্ন ৮ শতাংশ হারেই নেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান। তবে সিডিএমএ পরিষেবার ক্ষেত্রে নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। |
|
|
|
|
|