|
|
|
|
কয়লার দাম নিয়ে কোল ইন্ডিয়ার নথি তলব কোর্টে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মুখে দাম কমানোর কথা বললেও কোল ইন্ডিয়া আসলে কয়লার বেশি দাম নিচ্ছে বলে বুধবার হাইকোর্টে অভিযোগ করল এক বিদ্যুৎসংস্থা। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি পিনাকী ঘোষ ও বিচারপতি মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ কোল ইন্ডিয়া-কে দরবৃদ্ধি ও দরহ্রাস সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আজ, বৃহস্পতিবার আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
২০১১-র ফেব্রুয়ারি ও ডিসেম্বর দু’দফায় কয়লার দাম বাড়িয়েছে কোল ইন্ডিয়া। ২০১২-র ৩১ জানুয়ারি তারা জানায়, দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু সিইএসসি’র আইনজীবী সমরাদিত্য পাল এ দিন সওয়ালে বলেন, কোল ইন্ডিয়া’র দর কমানোর দাবি যথার্থ নয়। তারা অনেকটা দাম বাড়িয়ে পরে কিছুটা কমিয়েছে। ধরা যাক, ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা কমিয়েছে। অর্থাৎ দাম আসলে ৭০ টাকা দর বেড়ে গেল। সিইএসসি’র কৌঁসুলির মতে, এটা এক ধরনের ব্যবসায়িক কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়।
কয়লার মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সিইএসসি তাতে যোগ দিয়েছে।
সুভাষবাবুর বক্তব্য: আমজনতার স্বার্থে কয়লা শিল্পের জাতীয়করণ হয়েছিল, যাতে বেসরকারি মালিকেরা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে ইচ্ছেমতো দাম বাড়াতে না-পারে। অথচ কোল ইন্ডিয়া এখন মুনাফার লক্ষ্যে যেমন খুশি দর বাড়াচ্ছে। কোন দামে কয়লা বিক্রি হবে, তা স্থির করার কোনও নীতি নেই বলে সুভাষবাবুর অভিযোগ।
অন্য দিকে কোল ইন্ডিয়া-র ব্যাখ্যা, তারা মূল্য নির্ধারণের জন্য কমিটি বানিয়েছে। কোন অবস্থায় দাম কত বাড়ানো হবে, তা সেই কমিটি ঠিক করবে। উপরন্তু কোল ইন্ডিয়া’র মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখতে আলাদা কমিটি গড়েছে কয়লা মন্ত্রকও। যদিও সুভাষবাবুর মতে, এ ক্ষেত্রে কয়লা মন্ত্রকেরও কিছু করার নেই। |
|
|
|
|
|