নিজস্ব সংবাদদাতা • খয়রাশোল |
মল্লাপাড়া থেকে পারশুণ্ডি গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তা সংস্কার করার দাবি উঠেছে। রাস্তাটি কম বেশি ৫০০ মিটার দীর্ঘ। কিন্তু বেহাল দশার জন্য ওই রাস্তাই দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করতে সমস্যায় পড়ছেন খয়রাশোলের পারশুণ্ডি গ্রামের বাসিন্দারা।
এলাকায় ৭০-৮০টি পরিবারের বাস। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, বেশ কয়েকবার স্থানীয় পঞ্চায়েতে রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। একই সঙ্গে পাড়ায় একটি গভীর নলকূপের প্রয়োজনের কথাও তাঁরা পঞ্চায়েতকে জানিয়েছেন। কিন্তু এক্ষেত্রেও পঞ্চায়েত তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দা ফাল্গুনি বাউড়ি, নিমাই বাউড়িরা বলেন, “দুটি বিষয়ই আমাদের কাছে জ্বলন্ত সমস্যা। রাস্তাটির সংস্কার হলে আমাদের পাড়ায় ঢুকতে-বেরোতে আর গোটা গ্রাম ঘুরতে হবে না। এ ছাড়া পাড়ার পানীয় জলের একমাত্র ভরসা সরকারি ইঁদারাটিও জল পানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গভীর নলকূপ তৈরি হলে এ পাড়ার বাসিন্দাদের পানীয় জলের প্রয়োজন মিটবে।” স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদাসীনতায় সমস্যাগুলি মিটছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বাসিন্দারা।
পারশুণ্ডি পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের সুদাম মণ্ডলের দাবি, “এলাকার নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বা গ্রামোন্নয়ন কমিটির সদস্য কেউই এ ব্যাপারে কিছু জানাননি। অথচ পঞ্চায়েতের বার্ষিক বাজেটও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন বললে কী করে হবে?” যদিও গ্রামোন্নয়ন কমিটির সদস্য সুকুমার দাস, তাপস দাসরা সুদামবাবুর দাবি উড়িয়ে দিয়ে অভিযোগ করেন, “গ্রামোন্নয়ন কমিটিকে প্রধান গুরুত্ব দেন না। শুধু ওই পাড়ার বিষয়টিই নয়, গ্রামের বেশ কিছু পুকুরের গার্ডওয়াল দেওয়ার কথা একাধিক বার জানানো হলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি।” |