নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
পাথর শিল্পাঞ্চলে ধুলো দূষণ এবং বৈধ ক্রাশার-খাদান চিহ্নিত করতে পুলিশ-প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা সুস্পষ্ট ভাবে জানানোর দাবি জানালেন জেলা আদিবাসী গাঁওতার সদস্যরা। এই দাবিতে বুধবার দুপুর থেকে রাত ফের রামপুরহাট থানার বড়পাহাড়ি মোড়ে রামপুরহাট-দুমকা সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
দূষণ নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মালিকপক্ষ ও আদিবাসী গাঁওতার সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। এর জেরে ওই দিন বিকেল পর্যন্ত রামপুরহাট থানার বড়পাহাড়ি মোড়ে, রামপুরহাট-দুমকা রোড়ে অবরোধ করেছিলেন গাঁওতার সদস্যরা। এ দিন সকালেও বড়পাহাড়ি এলাকায় একটি ক্রাশারের কর্মী, ম্যানেজাকে গাঁওতার সদস্যরা মারধর করে বলে অভিযোগ মালিক পক্ষের। গাঁওতার সদস্য রামপুরহাটের আরান্দার বাসিন্দা দেবু সোরেনের দাবি, “প্রশাসনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বড়পাহাড়ি, দিঘলপাহাড়ি, বারমেশিয়া, ধরমপাহাড়ি, তেঁতুলবাঁধি এলাকায় বেশকিছু ক্রাশার দূষণ নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। জোর করে ক্রাশার ও খাদান চালাচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালাতে গেলে মালিকপক্ষ আমাদের সদস্যদের মারধর করছে। এ দিনও আমাদের কেউ কাউকে মারধর করেনি।” তিনি জানান, তাঁদের দাবির ব্যাপারে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা স্পষ্ট করা হোক। রামপুরহাট পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির পক্ষে নরেশচন্দ্র দত্ত বলেন, “ক্রাশার, খাদান সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রশাসনের কাছে জমা আছে। এখনও পর্যন্ত কোন ক্রাশার বা খাদান বৈধ তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।” তাঁর দাবি, “অথচ মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজন পুলিশ পাঠিয়ে ক্রাশার-খাদান বন্ধ করছে, গাঁওতার সদস্যরাও এসে বন্ধ করে দিচ্ছেন। মালিক পক্ষ প্রশাসনের সুস্পষ্ট নির্দেশের দিকে তাকিয়ে আছে।” জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “অবরোধ তোলার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।” জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা বলেন, “দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করছি।” |