নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
এক শিক্ষাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল কলেজের দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি রামপুরহাট কলেজেরই। মাস খানেক আগে এই কলেজের অধ্যক্ষকে মানসিক নির্যাতন ও নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছিল কলেজেরই কিছু পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। কলেজের ওই কর্মী দিলীপ চক্রবর্তী কলেজ শিক্ষা কর্মী ইউনিয়নের কাছে এবং মৌখিক ভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশিস পালকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আশিসবাবু বলেন, “এ দিন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডেকে আলোচনা করা হয়েছে। কলেজে সুস্থ পরিবেশ ফেরাতেই হবে। দেখছি কী করা যায়।”
দিলীপবাবু বলেন, “এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কলেজের ১৪ নম্বর ঘরে বি.এ প্রথম বর্ষের সংস্কৃত পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের উত্তরপত্র দিচ্ছিলাম। এক একটা বেঞ্চে ৪-৫ জন ছাত্রছাত্রী বসেছিল। পড়ুয়ার সংখ্যা এত বেশি তাদের মধ্যে কেউ কেউ দাঁড়িয়েও ছিল।” তাঁর অভিযোগ, “কয়েক জন ছাত্র আমার কাছে উত্তরপত্র ছিনিয়ে নিতে এসেছিল। বাধা দিতে গেলে কয়েকটি উত্তরপত্র ছিঁড়ে যায়। |
প্রহৃত শিক্ষাকর্মী দিলীপ চক্রবর্তী। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম। |
তার পরে দু’জন ছাত্র আমাকে মারধর করে পালিয়ে যায়।” কলেজের শিক্ষা কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক বসন্ত সিংহ বলেন, “পুরো ঘটনার জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী। কারণ, বর্তমানে এই কলেজে ২০ জন কর্মী আছেন। শূন্যপদ পূরণ করা হচ্ছে না। স্থায়ী ক্যাশিয়ার নেই। আসন সংখ্যার তুলনায় পাঁচগুণ বেশি ছাত্র ভর্তি করানো হচ্ছে। তাই ছাত্রছাত্রীরা উপযুক্ত পরিষেবা পাচ্ছে না।”
এ দিকে, কলেজের দুই ছাত্র সংগঠন এসএফাই ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) এই ঘটনার জন্য কেউ কাউকে দায়ী করেনি। তবে টিএমসিপির কলেজ ইউনিট সভাপতি সুমন মণ্ডলের দাবি, “অধ্যক্ষের জন্য এই সব কাণ্ড ঘটছে। চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। যেখানে অধ্যক্ষের সদর্থক ভূমিকা নেওয়া উচিত সেখানে উনি অনুপস্থিত।” এসএফআই পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সফিউল ইসলাম বলেন, “ঘটনা নিন্দনীয়। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া উচিত।” রামপুরহাট কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রবীর রায় বলেন, “পরিকাঠামো গত সমস্যা আছে। তবে শূন্য পদে স্থায়ী ভাবে লোক নিয়োগের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাছি। কিছু ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সমস্যার জন্য লোক নিয়োগ করা যায়নি। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।” |