পাড়ার ক্লাবে অপ্রীতিকর কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় এক মহিলাকে মারধরের চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই হামলার প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় আবার এক মহিলা ও তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক্লাবের লোকজনের বিরুদ্ধে। ক্লাবের তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতারও হয়নি।
বর্ধমান শহরের বাহির সর্বমঙ্গলাপাড়ার নজরুল পল্লির বাসিন্দা মহম্মদ ফয়জুল আলি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর স্ত্রী মমতাজ খানের ডান হাতের কব্জি ভেঙেছে। তাঁদের অভিযোগ, সোমবার সকালে প্রায় ৩০-৪০ জন লোক বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। ফয়জুল আলি রডের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন। কিন্তু বর্ধমান থানা তাঁদের অভিযোগ নিতে চায়নি বলে মমতাজের অভিযোগ। |
জখম মমতাজ খান। নিজস্ব চিত্র। |
বেশি রাতে অবশ্য পুলিশ সুপারের নির্দেশে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে লিখিত অভিযোগ নেয়। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।”
মমতাজের অভিযোগ, ক্লাবটি তাঁদের পাড়ায় একটি পার্কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে অপ্রীতিকর কাজকর্ম চলে। হইচইয়ে আশপাশের বাড়ির ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করতে অসুবিধা হয়। কিছু দিন আগে পাড়ারই বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম ক্লাবে গিয়ে এর প্রতিবাদ করেছিলেন। তাঁকে অপমান করা হয়, এমনকী বাড়িতে গিয়ে মারধরের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই ক্লাবের লোকজন তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন বলে মমতাজ অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবারই ওই পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ক্লাবটি তালাবন্ধ। ক্লাবের দুই সদস্য শেখ পিন্টু ও শেখ রাজেশ দাবি করেন, মমতাজ খানের বাড়িতে ঢুকে কারা হামলা চালিয়েছে, তা তাঁরা জানেন না। বর্ধমান থানার আইসি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “কেন অভিযোগ না নেওয়ার কথা উঠল, তা বুঝতে পারছি না। মহিলারা থানায় এসে থাকলে অবশ্যই অভিযোগ নেওয়া উচিত। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |