গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলের বর্ধমান জেলা সহ-সভাপতি পদ ছাড়ার হুমকি দিলেন কাটোয়ার বাসিন্দা তথা আইনজীবী কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়। বুধবার স্থানীয় রবীন্দ্রভবনে দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক স্বপন দেবনাথদের সামনেই তিনি বলেন, “কাটোয়া শহরে দল জগাখিচুড়ি অবস্থায় চলছে। কার নেতৃত্বে কর্মীরা আন্দোলন করবেন, তার দিশা নেই। এই অবস্থায় পদে থাকার মানে হয় না।” তবে রাত পর্যন্ত তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেননি বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর।
১৯৯৫ সাল থেকে কাটোয়া পুরসভা ও পরের বছর থেকে বিধানসভায় জিতে আসছে কংগ্রেস। জন্ম ইস্তক তৃণমূল কোনও দিনই এখানে শক্ত মাটি পায়নি। ‘পরিবর্তনের হাওয়া’ সত্ত্বেও স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রভাব অক্ষুণ্ণ। |
এ দিন সভায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করেন, উপরতলার নেতারা নজর না দেওয়াতেই কাটোয়ায় দলের সংগঠন গড়ে ওঠেনি। দলের যুবনেতা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় অনুযোগ করেন, গত পুর নির্বাচনে দলের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও কাটোয়ায় এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি এম জাটুয়া কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন।
স্বপনবাবু বলেন, “১৯টি ওয়ার্ড থেকে ৫০ জনও সভায় নেই। বাইরের কর্মীদের এনে সভা ভরানো হয়েছে। তার উপরে রয়েছে শহরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্ব মিটলেই দিশা দেখা যাবে।” মলয়বাবুর পরামর্শ, “মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। কোনও দাদার পার্টি অফিস থেকে দল চালালে চলবে না।” পরে দাঁইহাট ও কাটোয় ২ ব্লকের গাজিপুরে সভায় গিয়ে তিনি পলেন, “আমাদের সরকার এই আট মাসে কী কাজ করেছে, তা তুলে ধরে প্রচার চালান।” কংগ্রেস ‘সহযোগী’ দলের আচরণ করছে না অভিযোগ করে তাঁর দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধযায়ের জন্য কংগ্রেস টিকে আছে। জোট ছাড়লে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে ওদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।” রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য বলেন, “কিছু অফিসারের জন্যই সমস্যা হচ্ছে। আমরা সেগুলিই তুলে ধরছি। সরকারের সমালোচনা করছি না।” |