নিজস্ব সংবাদদাতা • বারাবনি |
বিনা প্ররোচনায় দুই গ্রামবাসীকে মারধর করেছেন কয়েক জন সিআইএসএফ কর্মী, এই অভিযোগে বুধবার সকালে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো বাসিন্দা। বুধবার সকালে বারাবনি থানার মোহনপুর ক্যাম্পে এই বিক্ষোভ হয়। সিআইএসএফের অবশ্য দাবি, কাউকে মারধর করা হয়নি।
বারাবনি ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি অতীশ সিংহ অভিযোগ করেন, সম্প্রতি কয়েক জন সিআইএসএফ কর্মী বিনা প্ররোচনায় এলাকার বাসিন্দাদের মারধর করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলেও দুই গ্রামবাসীকে সিআইএসএফ কর্মীরা মারধর করেন বলে তাঁর অভিযোগ। এক জনকে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়েছে। বুধবার সকালে এই খবর জানাজানি হতেই মোহনপুর সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা সিআইএসএফ ক্যাম্প অফিস ঘেরাও করেন। গ্রামবাসীরা দাবি তোলেন, অভিযুক্ত সিআইএসএফ কর্মীদের অপসারিত করতে হবে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। অবস্থা সামাল দিতে পৌঁছয় বারাবনি থানার পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সিআইএসএফ-এর ডেপুটি কমান্ড্যান্ট আর অরুণ। গ্রামবাসীদের দাবি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি। এর পরেই বিক্ষোভ উঠে যায়। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগের বিষয়ে আর অরুণ বলেন, “সিআইএসএফ কাউকে কোনও মারধর করেনি। এর বেশি কিছু বলার এক্তিয়ার আমার নেই।”
সিআইএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহনপুর এলাকায় প্রচুর অবৈধ কয়লা খাদান আছে। সিআইএসএফ কর্মীরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অবৈধ খননকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন। গত কয়েক দিন ধরে সিআইএসএফ অভিযানের মাত্রা বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় অবৈধ খাদানগুলি থেকে কয়লা তুলতে পারছে না খননকারীরা। মঙ্গলবার থেকে এলাকার বেশ কিছু লোকজন দফায় দফায় সিআইএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে দু’ঘন্টা করে খাদানগুলিতে পাহারা শিথিল করার দাবি জানাতে থাকে।
বুধবার সকালেও এক দল গ্রামবাসী এই দাবিতে ক্যাম্প অফিস ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন। এই সময়ে সিআইএসএফ তাড়া করে গ্রামবাসীদের সরিয়ে দেয়। তখন কোনও ভাবে কেউ আহত হয়ে থাকতে পারেন। বারাবনি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও পক্ষই এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। |