|
|
|
|
টাই ম্যাচে পাঁচ বলের ওভার নিয়ে বিতর্ক |
ফিল্ডিংয়েই তফাত গড়ে দিল ভারত |
রবি শাস্ত্রী |
নিজের দুশোতম ওয়ান ডে ম্যাচে ভারতকে একটা ‘টাই’ উপহার দিল ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। যাঁরা বলছেন এই ম্যাচটা খুব সহজেই ভারতের জেতা উচিত ছিল, তাঁরা খুব ভুল বলছেন না। তবে শেষ দিকের ওভারগুলোয় যা অবস্থা দাঁড়িয়েছিল তাতে ‘টাই’ করতে পেরে ভারতীয়দের খুশিই হওয়ার কথা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটারদের অবশ্য খারাপ লাগা স্বাভাবিক। ওদের অবস্থাটা এখন বেশ কঠিন হয়ে গেল।
এই নিয়ে পরপর দুটো ম্যাচে দুর্দান্ত ভাবে ভারতীয় ইনিংসের ভিত তৈরি করল গৌতম গম্ভীর। শেষ ন’ওভারে ছ’উইকেট হাতে ৬০-এর কাছাকাছি রান তাড়া করা ম্যাচের রাশ ভারতের হাতেই ছিল। কিন্তু তার পরেই এক-এক করে উইকেট পড়তে শুরু করল। ভারতীয়দের উপর চাপ তৈরি হল। আর হাতে বেশ কয়েক ওভার বাকি থাকা লাসিথ মালিঙ্গা ওদের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠল। |
|
টাই-এর পরে। ছবি: রয়টার্স |
সত্যি বলতে কী, এই ম্যাচ হার ভারতের প্রাপ্য ছিল না। ওদের ফিল্ডিং আজ অসাধারণ ছিল। বোলিংয়েও অনেক উন্নতি হয়েছে। অশ্বিনকে শ্রদ্ধা করতে বাধ্য হচ্ছিল শ্রীলঙ্কানরা। সুইং বা প্রচণ্ড গতি না থাকলেও বিনয় কুমারের বল ধরতে পারছে না ব্যাটসম্যানরা। ইরফান পাঠান আসায় বোলিং বিভাগ আরও ভাল হয়েছে। হালফিলে দেখছি, ভারতীয় বোলাররা ফিল্ড অনুযায়ী বল করছে। বল হাতে এর মধ্যে খুব খারাপ দিন গিয়েছে, এমন কারও নাম মনে করতে পারছি না। যার জন্য ভারতীয় ফিল্ডিংও আরও ভাল দেখাচ্ছে। মঙ্গলবারের তিনটে রান আউটই এর প্রমাণ। |
ভারতের ছয় টাই |
বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পারথ ১৯৯১ |
বনাম জিম্বাবোয়ে, ইনদওর ১৯৯৩ |
বনাম জিম্বাবোয়ে, পার্ল ১৯৯৭ |
বনাম ইংল্যান্ড, বেঙ্গালুরু ২০১১ |
বনাম ইংল্যান্ড, লর্ডস ২০১১ |
বনাম শ্রীলঙ্কা, অ্যাডিলেড ২০১২ |
এই প্রথম |
দু’দল একই রান করেছে সমান সংখ্যক উইকেট হারিয়ে। দু’দলই
সমসংখ্যক
ওভার খেলেছে। দু’দলই মেরেছে ১৫টা চার, দুটো ছয়।
দু’দলের দেওয়া অতিরিক্ত রানের (৮) পরিমাণও এক। |
|
এমনিতে দলের সবাইকে চালানোর কাজটা ধোনি খুব ভাল করছে। মঙ্গলবার উইকেটের পিছনে দুটো ক্যাচ দিয়ে শুরু করল। তিনটে রান আউটেও ধোনির ভাল অবদান ছিল। যার মধ্যে সবচেয়ে ভাল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজের রান আউটটা। ক্রিজ থেকে বেরনোর আগে কেন জানি না ম্যাথেউজ ভুলেই গিয়েছিল যে বলটা ধোনির হাতেই ছিল। ম্যাথেউজ শেষ পর্যন্ত থেকে গেলে শ্রীলঙ্কা আরও ২০-৩০ রান তুলে ফেলত। ভাল ফিল্ডিং করেই ম্যাচটায় তফাত গড়ে দিল ভারত।
ভারতীয় টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডারের কাছ থেকে অনেক কিছু পাওয়া বাকি আছে। রোহিত শর্মা এবং সুরেশ রায়নার কাছ থেকে বড় ইনিংস চায় সবাই। যাই হোক, সিরিজটা বেশ উত্তেজক অবস্থায় দাঁড়িয়ে। যেখানে বোলারদের তুলনায় ব্যাটসম্যানদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।
|
অ্যাডিলেডের স্কোর
|
শ্রীলঙ্কা |
থরঙ্গা ক ধোনি বো বিনয় ০
দিলশান ক ধোনি বো ইরফান ১৬
সঙ্গকারা ক গম্ভীর বো অশ্বিন ৩১
চন্ডীমল রান আউট ৮১
জয়বর্ধনে এলবিডব্লিউ বিনয় ৪৩
ম্যাথেউজ রান আউট ১৭
পেরেরা ক কোহলি বো অশ্বিন ৫
কুলশেখরা ক গম্ভীর বো বিনয় ১২
সেনানায়কে ন.আ. ২২
মালিঙ্গা রান আউট ০
হেরাথ ন.আ. ১
অতিরিক্ত ৮,
মোট ৫০ ওভারে ২৩৬-৯।
পতন: ০, ২৮, ৭৯, ১৭৩, ১৭৮, ১৮৪, ২১০, ২৩২, ২৩৫।
বোলিং: বিনয় ১০-১-৪৬-৩, ইরফান ৯-০-৩৮-১, উমেশ ৯-০-৫১-০,
অশ্বিন ১০-১-৩০-২, জাডেজা ১০-০-৫৮-০, রোহিত ২-০-১০-০।
|
ভারত
|
গম্ভীর রান আউট ৯১
সচিন ক সঙ্গকারা বো কুলশেখরা ১৫
কোহলি এলবিডব্লিউ পেরেরা ১৫
রোহিত রান আউট ১৫
রায়না ক সঙ্গকারা বো মালিঙ্গা ৮
ধোনি ন.আ. ৫৮
জাডেজা ক জয়বর্ধনে বো পেরেরা ৩
অশ্বিন ক সেনানায়কে বো মালিঙ্গা ১৪
ইরফান রান আউট ৮
বিনয় রান আউট ১
উমেশ ন.আ. ০
অতিরিক্ত ৮, মোট ৫০ ওভারে ২৩৬-৯।
পতন: ২৪, ৬১, ৯৪, ১১৮, ১৭৮, ১৮৪, ২১২, ২২৩, ২৩৩।
বোলিং: মালিঙ্গা ১০-১-৫৩-২, কুলশেখরা ১০-০-৩৯-১, ম্যাথেউজ ৫-০-৩৫-০,
পেরেরা ৯-০-৪৫-২, হেরাথ ১০-১-৩৩-০, সেনানায়কে ৬-০-৩০-০। |
|
|
|
|
|
|
|