উদয়নারায়ণপুর সারদাচরণ ইনস্টিটিউশন |
প্রতিষ্ঠা ১৯১১।
ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১৯০০।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ৩১ জন।
প্যারাটিচার ৩ জন।
অশিক্ষক কর্মী ৫ জন।
২০১১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীণের্র হার ৯৭ শতাংশ।
২০১১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার ৯৮ শতাংশ। |
|
|
প্রশান্ত জানা
(প্রধান শিক্ষক)
|
|
গ্রন্থাগার ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা খুবই প্রয়োজনীয় |
হাওড়া জেলার উত্তর পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত উদয়নারায়ণপুর একটি বন্যাকবলিত এলাকা। এই রকম একটি এলাকায় তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের আমলে ১৯১১ সালে শিক্ষানুরাগী স্থানীয় জমিদার সারদাচরণ চট্টোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত করেন উদয়নারায়ণপুর সারদাচরণ ইন্সটিটিউশন। পরবর্তীকালে তাঁর সুযোগ্য উত্তরাধিকারীরা সেই ধারা বজায় রেখেছেন। ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কলেবর বাড়তে থাকে। বর্তমানে সারদাচরণবাবুর বংশধরদের মধ্যে বিল্বনাথ চট্টোপাধ্যায়, গীতা চট্টোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় স্কুলের উন্নতিতে নিরন্তর সাহায্য করে চলেছেন। স্কুলের তিনটি পৃথক ভবন রয়েছে। শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা ৩৯টি। পঞ্চম থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সাধারণ ও বৃত্তিমূলক বিষয়ে পঠন-পাঠন হয়। পঠন-পাঠনের মান যাতে বাড়ে তার প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়। এই স্কুল থেকে বেরিয়েছেন অনেক কৃতি ছাত্র-ছাত্রী, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। গত বছর স্কুলের শতবর্ষ পালন করা হল স্বাড়ম্বরে। |
সর্বশিক্ষা মিশন থেকে ছয়টি শ্রেণিকক্ষের জন্য অনুদান পাওয়া গেলেও যা বেশ অপ্রতুল। স্কুলের বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২০০০। স্থান সংকুলান করা বেশ সমস্যা হচ্ছে। স্কুলের পাঠাগারটি বেশ সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর মূল্যবান বই রয়েছে। কিন্তু আইনি জটিলতায় আটকে গিয়েছে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ প্রক্রিয়া। তাতে গ্রন্থাগার চালাতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। অভাব রয়েছে প্রয়োজনীয় শিক্ষক-শিক্ষিকারও। প্রাচীন ও ঐতিহ্যশালী এই স্কুলটির প্রথম ভবনটি বয়সের ভারে ন্যুব্জ। এটির মেরামত করা বা তার পরিবর্তে নতুন একটি বাড়ি তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন। চট্টোপাধ্যায় পরিবার ছাড়াও এই স্কুলকে অভিভাবক, গ্রামবাসী এবং পরিচালন সমিতির সদস্যেরা নিজেদের সম্পদ বলেই মনে করেন। তাঁদের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের স্কুল এগিয়ে চলেছে।
|
আমার চোখে |
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়
(ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট বয়) |
|
আমাদের স্কুলের কথা বলতে গেলে পরিবেশের বিষয়টি প্রথমেই উল্লেখ করতে হয়। পঠন-পাঠন থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক প্রতিটি বিষয়ই ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে অনূকূল। শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকলেই খুব আন্তরিক এবং বন্ধুর মত সহায়তা করেন। কোনও বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে শিক্ষকেরা ব্যক্তিগত ভাবে তার সমাধান করতে এগিয়ে আসেন। কিছু অসুবিধা যে নেই তা বলা যাবে না। স্কুলে শৌচাগারের সমস্যা রয়েছে। গ্রন্থাগার রয়েছে। নেই গ্রন্থাগারিক। গ্রন্থাগারের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে বইগুলি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। পঠন-পাঠন ছাড়াও স্কুলে খেলাধূলার উপরে জোর দেওয়া হয়। সংস্কৃতি চর্চার উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাতে আমাদের মানসিক গঠন পরিণতি পায়। |