টুকরো খবর |
সমঝোতা-কাণ্ডে ‘স্বীকারোক্তি’ অভিযুক্তের
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
সমঝোতা এক্সপ্রেসে সে-ই বোমা রেখেছিল বলে আদালতে স্বীকার করল ২০০৭ সালের ওই বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কমল চৌহান। এই নাশকতা চালানোর আগে সে হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও নিয়েছিল বলে জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ আরএসএস কর্মী কমল। আরএসএসের তরফে অবশ্য গোটা ঘটনাটিকে সাজানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে নয়ডা থেকে কমলকে গ্রেফতার করেন জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) কর্তারা। আজ তাকে পাঁচকুলা আদালতে হাজির করানো হয়। আরও কিছু দিন তাকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে আদালতের কাছে আবেদন জানায় এনআইএ। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ফের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। তত দিন কমলকে এনআইএ-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০০৭ সালের ওই বিস্ফোরণে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন পাকিস্তানের নাগরিক। তদন্তে জানা গিয়েছে, রামচন্দ্র কালাসাংরা ওরফে রামজি এবং লোকেশ শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি স্টেশনে কমল ট্রেনটিতে বিস্ফোরক রেখেছিল। আদালতে কমলের শুনানির শেষে এনআইএ-র বিশেষ আইনজীবী আর কে হান্ডা এ কথা জানান। হান্ডা বলেন, “কমল হরিয়ানার ফরিদাবাদে কর্নি সিংহ শু্যটিং রেঞ্জে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। ২০১১-এর ১০ অগস্ট ওই শু্যটিং রেঞ্জের একটি রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। তাতে কমলের নাম মিলেছে। মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসের বাগলিতেও প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে।” তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় কমল স্বীকার করেছে যে সে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সক্রিয় সদস্য ছিল। দলের ‘নতুন মতাদর্শ’ না মানতে পারায় তাকে ছেঁটে ফেলা হয়। একই মামলায় ২০১০ সালের জুনে ধৃত লোকেশ শর্মা সম্পর্কে কমল জানিয়েছে, যে বৈঠকে বিস্ফোরণের ছক চূড়ান্ত হয়েছিল তাতে হাজির ছিল লোকেশ।
|
কিষাণগঞ্জে ইঞ্জিনিয়ার ঘুষ নিতে গিয়ে ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ভিজিল্যান্সের জালে এ বার ধরা পড়লেন বিহার আবাসন দফতরের এক এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। মঙ্গলবার ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন শ্রীকৃষ্ণকান্ত কুমার নামে ওই ইঞ্জিনিয়ার। একই সঙ্গে ওই দফতরের দুই কর্মী, শত্রুঘ্ন প্রসাদ এবং রঞ্জিত কুমারও ধরা পড়েছেন ভিজিল্যান্স কর্তাদের জালে। কিষাণগঞ্জের এই ঘটনায় তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রাজ্য ভিজিল্যান্স দফতর থেকে জানানো হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণকান্ত-সহ ওই দুই কর্মী সরভর আলম নামে এক ঠিকাদারের বকেয়া টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে মোট ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ চায়। ঘুষ নেওয়ার সময় ভিজিল্যন্সের অফিসাররা সেখানে উপস্থিত হয়ে তিন জনকে হাতেনাতে ধরেন। এরপর জেরা করে ওই এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের পটনার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ভিজিল্যান্স। ভিজিল্যান্সের এডিজি, সি পি ঠাকুর বলেন, “ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। যার কোনও হিসেব ওই ইঞ্জিনিয়ার দেখাতে পারেননি।” অন্য দিকে, ভূমি ও রাজস্ব দফতরের কর্মী রাজেন্দ্র প্রসাদ জমির মিউটেশন করিয়ে দেওয়ার নামে রবীন্দ্র প্রসাদ নামে এক ব্যক্তির থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে আজই ভিজিল্যান্সের হাতে ধরা পড়েছেন।
|
গণিতে দেশে সেরা সুমধুরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক অব ম্যাথমেটিক্সে সারা ভারতে প্রথম হল ইসলামপুরের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সুমধুরা বিশ্বাস। গত বছর নভেম্বরে ওই প্রতিযোগিতা হয়। সোমবারই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর স্কুলের তরফে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরে গোটা শহর জুড়ে খুশির হাওয়া বইছে। স্কুলের তরফে এদিন ওই ছাত্রীকে সংবর্ধনাও জানানো হয়। বেসরকারি ওই স্কুলের অধ্যক্ষ পার্থসখা পাত্র বলেন, “সুমধুরা পড়াশোনায় বেশ ভাল। ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শিক্ষকেরা সকলেই আশাবাদী।” ওই ছাত্রীর বাবা শুভেন্দু বিশ্বাস পেশায় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কর্মী। মা মধুমিতা দেবী গৃহবধূ। বাড়িতে মায়ের কাছেই পড়াশোনা করে ওই ছাত্রী। ছোট থেকেই ওই ছাত্রী অঙ্কে পারদর্শী। বহু কঠিন অঙ্ক একবার বুঝিয়ে দিলেই সে নিজেই সমাধান করতে পারে। একই রকমের আগ্রহ বিজ্ঞান নিয়েও। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে সুমধুরা ইন্টারঅ্যাক্টিভ ম্যাথমেটিক্স অলিম্পিকে সারা ভারতে চতুর্থ হয়। সায়েন্স অলিম্পকে সারা ভারতে ছাব্বিশতম স্থান দখল করে। পড়াশোনার সঙ্গে ওই ছাত্রী ছবি আঁকতেও ভালবাসে। সুমধুরা বলে, “আশা করেছিলাম, ভাল ফল হবে। একটা অঙ্ক ভুল হয়ে গিয়েছে। পড়াশুনার বিষয়টি মা খুবই সাহায্য করেন।” তার ওই অভাবনীয় সাফল্যে পরিবারের সবাই বেশ আনন্দের আমেজেই। সুমধুরার বাবা বলেন “সারা দিন ব্যাঙ্কের কাজে খুব ব্যস্ত থাকি। মেয়েকে পড়ানোর সময় পাই না। মেয়ের পড়াশোনার সব দায়িত্ব ওর মায়ের হাতেই।”
|
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রেলকর্মীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রেল মন্ত্রকের জন্য এ যাবৎ সাহায্য চেয়ে সরব হতেন রেলমন্ত্রীরা। এ বার ওই একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেনস ফেডারেশন। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাজেটে রেলের পরিকাঠামোগত উন্নতিতে ৫০ হাজার কোটি টাকা সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই রেলের আয় কমছে। বাড়ছে খরচ। অর্থের অভাবে আটকে রয়েছে বাজেটে ঘোষিত প্রকল্পের কাজ। এই অবস্থায় আসন্ন বাজেটে রেল মন্ত্রক যাতে বড় মাপের অর্থ সাহায্য পায়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী-যোজনা কমিশন-অর্থ মন্ত্রক সব মহলেই দরবার করেছেন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। কিন্তু রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, সেই অর্থে কোনও জায়গা থেকেই নিশ্চিত সাহায্যের আশ্বাস পাননি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র বলেন, “ফি দিন দু’কোটি মানুষ রেলে চড়েন। তাদের স্বার্থে প্রতি বছর যাত্রী ভাড়ায় কুড়ি হাজার কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়। সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার আর্থিক পুনরুজ্জীবনের জন্য একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করছেন, অথচ রেল উপেক্ষিত থাকছে।” এই সংগঠনের তরফেই রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখে যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি করার দাবি জানানো হয়েছিল।
|
শিশু ফিরিয়ে দিতে টালবাহানা নরওয়ের, উদ্যোগী বৃন্দা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রবাসী বাঙালি পরিবারের দুই সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েও ফের টালবাহানা শুরু করেছে নরওয়ে সরকার। বিষয়টি নিয়ে ফের বিদেশমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন সিপিএম সাংসদ বৃন্দা কারাট। অনুরূপ ও সাগরিকা ভট্টাচার্যের দুই সন্তানকে শর্তসাপেক্ষে তাঁদের কাকার হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছিল নরওয়ে সরকার। কিন্তু এখন প্রশাসন বলছে, সরকারি প্রক্রিয়া শেষ হতে এপ্রিল তো বটেই, মে মাসও গড়িয়ে যেতে পারে। শিশু দু’টির ভিসার মেয়াদ শেষ ৮ মার্চ। বাবা-মা না চাইলেও নরওয়ে সরকার ভিসার মেয়াদ বাড়াতে চাইছে। অনুরূপের ভাই, দুই শিশুর কাকা অরুণাভাস নরওয়েতে রয়েছেন। জটিলতা কাটাতে আজ ফের বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণের সঙ্গে বৈঠক করেন বৃন্দা কারাট। বিদেশ মন্ত্রকের হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেন তিনি। বৃন্দা বলেন, “ভারত সরকার ওদের আগের সব শর্ত মেনে নিয়েছে। আর কত মানবে? ভারত নরওয়ের কাছে দাবি জানাক, শিশু দু’টির ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তাদের ভারতে ফেরত পাঠানো হোক।”
|
জাতীয় যুব উৎসবে চাকদহের মেয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
সদ্য সমাপ্ত জাতীয় যুব উৎসবে নজর কাড়লেন চাকদহের শিমুরালির মানসী মিশ্র। গত ৫ জানুয়ারি কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে শুরু হয় পাঁচ দিনের ১৭তম জাতীয় উৎসব। এ রাজ্য থেকে বিভিন্ন কলেজের ১২ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন সেখানে। বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে গত ১৩ জানুয়ারি এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ওই উৎসবে। বিভিন্ন রাজ্যের ১৭ জনকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল নৃত্যের একটি দল। এ রাজ্য থেকে মানসীই একমাত্র সুযোগ পায় সেখানে। কানারা হাইস্কুল, ম্যাঙ্গালোর স্টেডিয়াম ও নেহরু স্টেডিয়ামে ওই দলটি নৃত্যের অনুষ্ঠান করে। মানসী শ্রেষ্ঠ হিসেবে স্বীকৃতি পায় সেখানে।
|
পুরসভায় জঞ্জাল ছুড়লেন পুরপিতাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • জয়পুর |
নিজের এলাকায় জমা ময়লা পরিষ্কারের দাবি জানাতে পুরসভার অধিবেশনেই সংশ্লিষ্ট কাজের ভারপ্রাপ্ত সহকারীকে তাক করে জঞ্জাল ছুড়লেন এক পুরপিতা। আজ নজিরবিহীন এই কাণ্ডের সাক্ষী রইল জয়পুর পুরসভা। নবাব আলি নামে কংগ্রেস সমর্থিত ওই নির্দল পুরপিতা নিকাশি কমিটির চেয়ারম্যান রোশন লাল সাইনির ওপর বালতি ভর্তি জঞ্জাল ছোড়েন। এর পরই পুরসভার সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। নবাব বলেন তাঁর করা এলাকা সাফাইয়ের দাবিকে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্ব দেননি সাইনি। বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনায় কংগ্রেসের মদত রয়েছে। মেয়র জ্যোতি খান্ডেলওয়ালও আলির আচরণের তীব্র নিন্দা করেন।
|
অস্ত্রোপচারের পরেও অসুস্থ অমিতাভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুম্বই |
পাকস্থলীতে অস্ত্রোপচারের পর ভাল না থাকায় আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন না অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। নিজের ব্লগে ৬৯ বছরের এই তারকা লেখেন, “সকাল থেকে যন্ত্রনায় ছটফট করছি। এর আগেও আমি তীব্র শারীরিক যন্ত্রনা সহ্য করেছি। কিন্তু এ বারের ব্যথা আমায় চিৎকার করার পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।” উল্লেখ্য ১৯৮২ সালে ‘কুলি’ ছবির শুটিংয়ে পাকস্থলীতে গুরতর চোট পান বচ্চন। এর পর থেকেই পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগছেন তিনি।
|
বাংলা বইমেলা শুরু দিল্লিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
১১তম বইমেলা শুরু হল দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আজ মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মেলা চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগে ওই মেলা প্রগতি ময়দানে হলেও এ বছর থেকে যাতায়াতের সুবিধার জন্য দিল্লির কালীবাড়ি প্রাঙ্গনে ওই মেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তরা। পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “বাঙালির সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে ধরে রাখতে রাজ্য সরকার সব ধরনের সাহায্য করতে আগ্রহী।” প্রায় ৪০টি বইয়ের স্টল রয়েছে এই মেলাতে। গোটা ত্রিশেক স্টল পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা প্রকাশকদের।
|
স্ত্রীর মৃত্যু সইতে না পেরে আত্মঘাতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
স্ত্রীর মৃত্যু সহ্য করতে না-পেরে আত্মঘাতী হলেন রাঁচি বিমান বন্দরের এক কর্মী। মৃতের নাম কল্যাণ চৌধুরী (২৭)। আজ সকালে বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। একুশ দিন আগে কল্যাণবাবুর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। |
|