|
|
|
|
ইরানের পাশেই থাকবে, বুঝিয়ে দিল ভারত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ইজরায়েল বলছে, নয়াদিল্লির মাটিতে নাশকতার পর এ বার ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুক ভারত। কারণ ইরানের মদতে পুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরাই গত কাল তাদের কূটনীতিকের গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আর ইরান বলছে, তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই ইজরায়েল মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে।
দু’দেশের এই বিবাদের মধ্যে না পড়ে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ বলেন, “ইজরায়েলের সঙ্গে যেমন আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, তেমনই অন্য দেশের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক খুবই ভাল।” ইজরায়েল বনাম ইরানের এই বিবাদে ভারত যে ঢুকতে চায় না, সে কথাও স্পষ্ট জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম-ও বলেন, “অন্য কোনও দেশ বা সংগঠনের দিকে আঙুল তোলার মতো প্রমাণ এখনও মেলেনি।”
নয়াদিল্লি ও জর্জিয়ার পরে আজ ব্যাঙ্ককে নাশকতার ঘটনাতেও সন্দেহের তির ইরানের দিকেই। ইজরায়েলের যুক্তি, ইরানই এখন সন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু। ইরান সেই অভিযোগ অস্বীকার করছে। মনমোহন-সরকারের বক্তব্য, গত কালের ঘটনার তদন্তে ইজরায়েল সরকারকে সব রকম সাহায্য করা হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ যথেষ্ট মজবুত। ইজরায়েল থেকে অত্যাধুনির সমরাস্ত্র কিনছে নয়াদিল্লি। কিন্তু ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও বন্ধ হবে না। কারণ, ভারতের চাহিদার ১২% পেট্রোলিয়াম ইরান থেকেই আমদানি করা হয়। তা বন্ধ হলে এ দেশে জ্বালানির সঙ্কট দেখা দেবে। বাণিজ্যিক লেনদেন বাড়াতেও আগ্রহী ভারত। শীঘ্রই বাণিজ্য-প্রতিনিধিদল ইরানে যাবে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সরে গেলে, ভারত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার খাতিরে সে দেশে তালিবান-বিরোধী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চায়। এতে পাকিস্তানের আপত্তি। এ বিষয়েও ইরানকে পাশে চায় ভারত। আমেরিকা-ইজরায়েলের চাপে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করলে এ দেশেও সংখ্যালঘুদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে সরকারকে।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ইজরায়েল ও আমেরিকার মূল আপত্তি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে। ইজরায়েলের আশঙ্কা, তাদের লক্ষ্য করেই ইরান পরমাণু বোমা বানাচ্ছে। গত চার বছরে ইরানের চার জন পরমাণু বিজ্ঞানী আততায়ীর হামলায় মারা গিয়েছেন। ঠিক যে কায়দায় গত কাল দিল্লিতে মোটরবাইক আরোহী ইজরায়েলি দূতাবাসের গাড়িতে বোমা আটকে দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। একই কায়দায় জানুয়ারিতে ইরানের এক বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ইজরায়েলকেই দায়ী করে ইরান। এখন তেহরান একই কায়দায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে কি না, তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে, তেমন তারা কেন দিল্লিকে হামলার জন্য বেছে নেবে, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কারণ ইরানের সঙ্গে ভারতের সর্ম্প ভাল। ইজরায়েল, আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ভারত বরাবরই ইরানের পাশে থেকেছে। পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাতে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ভারতের উপরও এই চাপ ছিল। কিন্তু নয়াদিল্লি মাথা নোয়ায়নি।
|
চিন, ভারতের কর্মী নিয়োগে আপত্তি ওবামার
সংবাদসংস্থা • ওয়াশিংটন |
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি বা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ক্ষেত্রে কাজের জন্য মার্কিন সংস্থাগুলি ভারত বা চিনের দক্ষ, শিক্ষিত কর্মী খুঁজুক, সেটা একেবারেই চান না প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এই প্রবণতা বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট চাইছেন, মার্কিন ছাত্রদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিতে স্কুলগুলোয় পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হোক। একটি কলেজে বক্তৃতা করতে গিয়ে ওবামা বলেন, “বিভিন্ন সংস্থা এখন অত্যন্ত দক্ষ এবং শিক্ষিত কর্মী খোঁজে। কিন্তু তার জন্য সংস্থাগুলো ভারত বা চিনের কর্মী খুঁজুক, সেটা আমি চাই না। আমেরিকা থেকেই তারা কর্মী বেছে নিন।” আর সেই কর্মী তৈরির জন্য ওবামা জোর দিয়েছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস স্কুলগুলোর দিকে নজর দিক, যাতে ভাল শিক্ষক নিয়োগ করায় কোনও সমস্যা না হয়। |
|
|
|
|
|