অধ্যক্ষের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তার ওপর বসে অনশন আন্দোলনে নামলেন কোচবিহার পলিটেকনিকের ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ পলিটেকনিক লাগোয়া কোচবিহার-শিলিগুড়ি সড়কের উপরে বসে অনশন আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। তাদের মধ্যে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র পরিষদের কৌশিক সাহাও রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কোচবিহার পলিটেকনিকে দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা থাকা স্থায়ী অধ্যক্ষ পদে মাত্র চার মাস আগে দায়িত্ব নেন গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তাকে পুরুলিয়ায় বদলির নির্দেশ জারি করেছে কারিগরি শিক্ষা দফতর। এমনকী তার পরিবর্ত হিসাবেও স্থায়ী অধ্যক্ষ দেওয়া হয়নি। এক সিনিয়র শিক্ষককে অফিসার ইনচার্জ পদে বসিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। এতে পলিটেকনিক ফের অভিভাবকহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। সেই জন্যই পরিবর্ত স্থায়ী অধ্যক্ষ ছাড়া বর্তমান অধ্যক্ষকে বদলির নির্দেশ মানার বিরোধিতায় নেমেছেন তাঁরা। |
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক সাহা বলেন, “স্থায়ী অধ্যক্ষ না থাকায় দীর্ঘদিন কলেজের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। মাত্র চারমাস আগে স্থায়ী অধ্যক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার পরে ফের পরিবর্ত ছাড়া তাকে বদলি করা হলে ফের একই সমস্যা হবে। প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকহীন দশা দেখতে চাইছি না বলেই ওই অধ্যক্ষের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় অনশন করে আমরা প্রশাসনের টনক নড়াতে চাইছি। দুপুর থেকে ওই ছাত্র আন্দোলনের জেরে কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার রুটের যানবাহনগুলিকে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। ভোগান্তি পোহান নিত্যযাত্রীরা। ছাত্র পরিষদের জেলা নেতা রাকেশ চৌধুরী বলেছেন, “এটা রাস্তা অবরোধের ব্যাপার নয়। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই পড়ুয়ারা পরিবর্ত ছাড়া স্থায়ী অধ্যক্ষের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি তুলে রাস্তায় অনশন করছেন। বিকল্প রাস্তা দিয়ে যানবাহন যাতায়াত করেছে।” গোটা ঘটনায় বিব্রত ওই পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “২৮ সেপ্টেম্বর কোচবিহারে দায়িত্ব নিই। সরকারি চাকরিতে বদলি হতেই পারে। ফলে ছাত্ররা যেভাবে আন্দোলন করছে তাতে আমারই অস্বস্তি হচ্ছে।” কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “এদিনের আন্দোলনের কথা শুনেছি। কয়েকদিন আগেই সেখানে পরিবর্ত হিসাবে স্থায়ী অধ্যক্ষ পাঠানোর ব্যাপারে কারিগরি শিক্ষা দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।” আন্দোলনকারীরা অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। |