বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি) মডেলে রাজ্য সরকার বেহাল রাস্তাঘাট সংস্কার করলে তাতে সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা চাপবে বলে মনে করছেন প্রাক্তন পূতর্মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী। সোমবার কোচবিহারের সুকান্ত মঞ্চে দলের ১৭তম জেলা সম্মেলন হয়। তাতে যোগ দিয়েছেন বর্ষীয়ান ওই আরএসপি নেতা। ক্ষিতিবাবু বলেন, “পিপিপি’ মডেলে রাজ্যে রাস্তাঘাট সংস্কার করা হলে যে সংস্থা তা করবেন তাঁরা টোল বা টাকা আদায় করবেন। এতে আখেরে সাধারণ মানুষের উপরে করের বোঝা চাপবে। রাজ্য সরকারের এই ভাবনা কতটা জনসমর্থন পাবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।” প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রীর দাবি, “কয়েকটি রাজ্য অবশ্য ওই পরিকল্পনা আগেই নিয়েছে। টোল বা করের জন্যই বামফ্রন্ট সরকার পিপিপি মডেল চালু করা নিয়ে আড়ষ্ট ছিল। নতুন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা।” |
এদিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের বিপর্যয়ের জন্য বড় শরিক সিপিএমের ভূমিকার কড়া সমালোচনাও করেন ক্ষিতিবাবু। তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে যুক্তিসম্মত পরামর্শ দিয়েও আমাদের সমালোচনা হজম করতে হয়। সিপিএম কিছু খারাপ কাজও করেছে। এখন আমাদের বন্ধুরা আত্মসমালোচনা করছেন। সময়ময় তাঁরা সেটা বুঝলে বিধানসভা ভোট আরও ভালো করে মোকাবিলা করা যেত।” রাজ্যের নয়া সরকারকে দিশাহীন বলেও ক্ষিতিবাবু মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আর্থিক সঙ্কটের সময়ে রাজ্যজুড়ে নানা উৎসবের নামে হুল্লোড়বাজি করে বিভিন্ন সমস্যাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। উৎসবের আগে রাজ্যের সমস্যাগুলি নিয়ে সরকারকে ভাবতে হত।” আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামদলগুলির নির্ভেজাল ঐক্য দরকার মনে ক্ষিতিবাবু মনে করেন, “তাঁর কথায়, “এবার পঞ্চায়েতে নির্ভেজাল ঐক্য গড়ার চেষ্টা করতে হবে। আগের মতভেদ ধরে থাকলে হবে না। আমরা এখন একই নৌকার যাত্রী। ক্ষমতা না থাকায় বিরোধ করে লাভ নেই।” আরএসপির জেলা সম্মেলনের নেতা জানান, বাম সরকার এমন কিছু আইন পাশ করে যা সাধারণ মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি। আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি। তবে সুখের বিষয় গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর অতীতের ভুল পদক্ষেপ স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এদিন দু’শো প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেন। তাপস সাহাকে সম্পাদক করে ২১ জনের জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। |