সোমবার ডুয়ার্সের বন্ধ ঢেকলাপাড়া চা বাগানে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায় প্রকল্পে ১৪৯জন কর্মক্ষমতাহীন বাসিন্দাদের রান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা চালু করল রাজ্য সরকার। বাসিন্দারা জানান, বৃদ্ধ ও অস্থায়ী শ্রমিকদের অবস্থা ভাল নয়। বাকিরা সরকারি অনুদানে কোনও মতে দুই বেলা খেতে পাচ্ছেন। স্থানীয় এবং অস্থায় বৃদ্ধ কর্মহীন শ্রমিকদের অবস্থা ভাল নয়। বিষয়টি বহু বার সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে জানানো হয়। এদিন, ওই বাসিন্দাদের পঞ্চায়েত দফতরে খিচুড়ি ও তরকারি খাওয়ানো হয়। বাগানের বাসিন্দা সবিনা ওঁরাও ও শঙ্করী ছেত্রীরা বলেন, “কোনও খাবার মেলে আবার কোনও দিন উপোস করে কাটাতে হয়। এভাবে নিয়মিত খাবার মিললে ভাল হয়। প্রতিদিন একবেলা ভাত ও তরকারি বা খিচুড়ি খাওয়ানো হবে জানানো হয়েছে।” |
মাদারিহাটের বিডিও হীরক মণ্ডল বলেন, “এই প্রথম বন্ধ বাগানে এই প্রকল্প চালু করা হল। নিয়মিত ওই বাসিন্দাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।” ২০০২ সাল থেকে বন্ধ ঢেকলাপাড়া চা বাগান। গত দুই মাসে নয়জনের অনাহর-সহ নানা কারণে মৃত্যু হয়েছে। বাগানের অনাহারের মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে সরব হয় আরএসপি এবং সিপিএম। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বাগানে এলে বাম সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাগানের বাসিন্দারা। আরএসপি-র শ্রমিক সংগঠন ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষের কাছেও শ্রমিকেরা আরএসপির নেতা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সমাজকর্মী অনুরাধা তালোয়ার বলেন, “অস্থায়ী শ্রমিক ও বৃদ্ধদের অবস্থা ভাল নয়। জেলা শাসককে সব জানিয়েছি। যাদের মৃত্যু হচ্ছিল তাদের বেশির ভাগ এই শ্রেণীর লোক।” |