আলুর অতিরিক্ত উৎপাদনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। সোমবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উৎসবের মেলায় যোগ দেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী। তিনি তথ্য দিয়ে জানান, চলতি মরসুমে প্রায় ১২০ লক্ষ টন আলু উৎপাদন হয়েছে রাজ্যে। সাধারণত ৬০ লক্ষ টন আলুর চাহিদা রয়েছে। তিনি বলেন, “প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুন আলু উৎপাদন হওয়ায় একটা সমস্যা তৈরি হয়। বাম আমলে আলু সংরক্ষণে এবং বাজারজাত করতে কোনও পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়নি। ক্ষমতায় আসার পরে আমরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েছি। চাষিদের সমস্যা থাকবে না।” সম্প্রতি ধূপগুড়িতে এক আলু চাষির আত্মহত্যা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মন্ত্রী জানান, ওই চাষির মৃত্যুর বিষয়ে রাজ্য সরকার খোঁজখবর নিয়েছে। প্রশাসনের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। হিমঘরে তাঁর ৩০০ মেট্রিক টন আলু ছিল। হিমঘর থেকে ওই চাষি ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ওই কৃষক মৃত্যুর আগেই সেই ঋণ শোধ করে দেন বলেও মন্ত্রী দাবি করেন। তিনি বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। ওই কৃষক ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে যে প্রচার করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। রাজ্যের কোথাও একজন আলু চাষিও আত্মহত্যা করেননি। কেউ আত্মহত্যা করলে তা চাষি বলে প্রচার করা হচ্ছে। এটা নোংরা রাজনীতি।” এ দিন অরূপবাবুর সঙ্গে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেব। বিপণন মন্ত্রী দফতরের আধিকারিকদের কাছে বিভিন্ন চালের বাজারের অবস্থা নিয়ে খোঁজ নেন। তুলাইপাঞ্জি, কাটারিভোগের বাজারে চাহিদা আছে শুনে সেগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ উৎসব সাড়া ফেলে দিয়েছে। স্টলের মাধ্যমে আমরা মানুষের কাছে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরছি। বিভিন্ন চালের বাজারে চাহিদা রয়েছে। সেগুলি নিয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।” |