উন্নয়নের কাজ থমকে থাকার অভিযোগে শিলিগুড়ির মেয়রকে স্মারকলিপি দিলেন বামপন্থীরা। সোমবার দুুপুরে পুরসভার বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৬ জন কাউন্সিলর মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের সঙ্গে দেখা করেন। বামফ্রন্টের দখলে থাকা ওয়ার্ডগুলি বঞ্চনার শিকার হচ্ছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন। মেয়র বলেন, “বঞ্চনার অভিযোগ ঠিক নয়। উন্নয়নের কাজও অব্যাহত রয়েছে। দু-একটি ক্ষেত্রে টাকার জন্য সমস্যা হলেও তা করার চেষ্টা হচ্ছে। তার পরেও যে অভিযোগ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখব।” নুরুলবাবুর অভিযোগ, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে উদয়শঙ্কর সরণির কাজ দু’বছর আটকে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেবেন্দ্র সিংহ গলি রোড সহ বেশ কিছু কাজ আটকে। গত মার্চ টেন্ডার হলেও এখনও কাজ শুরু করা হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “প্রায় দুই বছর আগে টেন্ডার হওয়ার পরেও কিছু কাজ শুরু করা হয়নি। অনেক কাজ শুরু হওয়ার পরও থমকে রয়েছে। বিরোধী কাউন্সিলরদের দখলে থাকা ওয়ার্ড বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ কম দেওয়া হচ্ছে।” এদিন বাম কাউন্সিলররা আরও অভিযোগ করেন, বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১০টি বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে ওই গরিব পরিবারগুলিকে ভাড়া বাড়িতে দিন কাটাতে হচ্ছে। বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। ভূমিকম্পের ঘটনায় জলপাইগুড়ি এলাকায় থাকা পুরসভার ১৪ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণ পাননি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও ভূমিকম্পে ক্ষতির টাকা পাননি। ফলে চরম অসুবিধেয় দিন কাটাতে হচ্ছে। সম্প্রতি শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে শহর সাজাতে যে পথবাতি লাগানো হয়েছে তা বিপজ্জনক। ওই পথবাতির থেকে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ ছাড়াও ওই বাতির জন্য শহরের মধ্যে গাছ কাটা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বাড়ি তৈরিতে পুরসভার তরফে কর বৃদ্ধি নিয়েও তাঁরা প্রতিবাদ জানান। এদিন দার্জিলিং মোড়ে হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়। নুরুলবাবু বলেন, “পুরসভা এলাকায় গাছা কাটা, হকার উচ্ছেদ নিয়ে তিনি কিছু জানেন না। পুরসভায় অনধিকার হস্তক্ষেপ হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।” মেয়র বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। ভূমিকম্পের টাকার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। হকার উচ্ছেদ পুরসভা করেনি। শহরে বাতি লাগানোর কাজ করেছে এসজেডিএ। আর ভাতার টাকা যেভাবে পাচ্ছি তা দেওয়া হচ্ছে।” |