আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়কে ফের অচল করার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে কর্মচারী সমিতির উদ্দেশে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। সমস্যা থাকলে তা নিয়ে আন্দোলনের পথে গিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি না করে পরামর্শ দেন আলাপ-আলোচনা করার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা মিটিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে দফতর সচেষ্ট রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির আন্দোলনের জেরে যে অচলাবস্থা চলছিল তা কাটলেও সমস্যা মেটেনি। সে ব্যাপারে কর্মচারী সমিতির সম্পাদক দেবীপ্রসাদ বুট এ দিন শিক্ষামন্ত্রীকে জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করলে চলবে না। শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা দরকার। বিভিন্ন সমস্যাগুলি সমাধানের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। |
রাজনৈতিক প্রভাবখাটিয়ে অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগ হয়েছে। সে সব এখনই ১০০ শতাংশ শোধরাতে পারব বলছি না। তবে আমরা কখনই নিষ্ক্রিয় ভাবে বসে থাকব না। সমস্যা থাকলেও আলোচনার মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে জটিলতা কাটানোর পথ উন্মুক্ত হবে।” তাই উচ্চশিক্ষার উন্নতিতে সুষ্ঠু পরিকাঠামো গড়ে তোলা যেমন দরকার তেমনই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে মনোভাব বদলাতে হবে বলে তিনি মনে করেন। দেবীপ্রসাদবাবু বলেন, “আমরা যে সমস্ত সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বলেছি তা মেটাতে কর্ম সমিতির বৈঠক জরুরি। নতুন অর্ডিন্যান্স লাগু হয়েছে। অথচ সেই মতো কোর্ট গঠন-সহ অন্যান্য কাজ এগোচ্ছে না। তা শিক্ষামন্ত্রীকে জানালাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আন্দোলন স্থগিত রেখে সেই অপেক্ষাই করছি।” সম্প্রতি উচ্চ শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান সুগত মার্জিত এবং অভিরূপ সরকারকে নিয়ে দুই সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে গিয়েছে। তাঁরা রিপোর্টও দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, সম্প্রতি নতুন অর্ডিন্যান্স লাগু হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত উপাচার্যের মেয়াদ বাড়ানো হয়। মার্চের মধ্যেই সার্চ কমিটি গড়ে নতুন উপাচার্য নিযুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। |