|
|
|
|
খাতা লোপাট এড়াতে অ্যাডমিট কার্ডে সই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
|
উত্তরপত্র জমা দিয়েই পরীক্ষার হলে ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব শেষ হচ্ছে না। খাতা জমা দেওয়ার পরে পরীক্ষার হলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক বা ‘ইনভিজিলেটর’ (নজরদার)-কে দিয়ে নিজের অ্যাডমিট কার্ডে সই করিয়ে নিতে হবে পরীক্ষার্থীদেরই। উত্তরপত্র লোপাটের ঘটনা এড়াতে এ বছর থেকেই এই পদ্ধতি চালু করতে চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। নিজেদের বিভিন্ন কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্প্রতি এই ব্যাপারে একটি কর্মশালাও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় খাতা হারানোর ঘটনা বিরল নয়। পরীক্ষা নিয়ামক ওঙ্কারসাধন অধিকারী সোমবার বলেন, “কারও খাতা খুঁজে না-পেলে অনেক সময়েই কলেজের তরফে বলা হয়, পরীক্ষার্থী খাতা জমা দেননি। কখনও কখনও হয়তো সেই অভিযোগ সত্যিও হয়। কিন্তু যখন পরীক্ষার্থী খাতা জমা দেওয়া সত্ত্বেও তা খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন বিনা দোষে সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়াকেই। তাই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে।”
পরীক্ষার ধকলের পরে এটা ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে একটা বাড়তি ঝক্কি। বাড়তি দায়িত্ব নজরদার শিক্ষকেরও। ৪০-৫০ জন ছাত্রছাত্রীর খাতা জমা নিয়ে তাঁদের অ্যাডমিট কার্ডে সই করতে গেলে তো পরীক্ষার হলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের অনেকটা সময় চলে যাবে। তাই এই নিয়ম বাস্তবে কতটা বলবৎ করা যাবে, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
ওঙ্কারসাধনবাবু বলেন, “শিক্ষকদের একাংশ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ওঁদের বলা হয়েছে, সকলের খাতা ও অ্যাডমিট কার্ড একসঙ্গে জমা নিয়ে সই করে অ্যাডমিট কার্ড ফেরত দিলেই হল।”
অ্যাডমিট কার্ডে সইয়ের নিয়মের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি পরীক্ষার আগে আবেদনপত্র পূরণের নিয়ম পাল্টে এক বারই তা পূরণের পদ্ধতি চালু করতে চান বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা নিয়ামক জানান, আগামী বছর থেকে শুধু পার্ট ওয়ান পরীক্ষার আগে আবেদনপত্র পূরণ করলেই চলবে। পার্ট টু ও পার্ট থ্রি-র আগে আর তা করতে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সংসদের সচিব শ্যামল সরকার বলেন, “রুটিন এমন ভাবে তৈরি করা হবে, যাতে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়। মাসখানেকের মধ্যে ফলপ্রকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে কলেজে পঠনপাঠনের দিন বাড়ানো যাবে।” |
|
|
|
|
|