|
|
|
|
ফরাক্কা নিয়ে চিঠি |
বাঁধ সারাইয়ে দেরি, চক্রান্ত দেখছেন মমতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
|
ফরাক্কা বাঁধের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দিয়ে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। অথচ সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে না। আর এই মেরামত না-করার ক্ষেত্রে গভীর চক্রান্ত আছে বলে অভিযোগ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাকরণ সূত্রের খবর, সোমবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে লেখা এক চিঠিতে এই অভিযোগ করেছেন মমতা। এই নিয়ে এ দিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় জলসম্পদমন্ত্রী পবন বনশলের সঙ্গে বৈঠকও করেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
গত বছর জুলাই মাসে বাঁধের একটি অংশে ফাটল দেখা দেয়। তার পরে আরও অন্তত দু’টি অংশে একই ঘটনা ঘটে। ফাটল দিয়ে হুহু করে জল বেরিয়ে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। উপযুক্ত পরিমাণ জলের সরবরাহ কমে আসায় এনটিপিসি-র ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। জল সরবরাহ কমে আসায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গই।
মুখ্যমন্ত্রী এ কথা জানিয়ে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত বাঁধ-কর্র্তৃপক্ষ ওই ফাটলের কথা রাজ্যকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করেননি। রাজ্য সরকার যখন ফাটলের কথা জানতে পারে, তার পর থেকে বারবার বাঁধ-কর্তৃপক্ষকে তা মেরামত করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছে। কিন্তু প্রতি বারেই দরপত্র ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতার কারণ দেখিয়ে আসছেন কর্তৃপক্ষ। তার ফলে আজও সেই ফাটল সারানো হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, গোটা ব্যাপারটাই একটা ‘গভীর চক্রান্ত’। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে মমতা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এই বিষয়টি ‘জরুরি’ ভিত্তিতে বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে দরপত্র সংক্রান্ত দীর্ঘসূত্রতা কাটিয়ে ফাটল মেরামতি শুরু করা হোক। এ দিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে মানসবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি আমাকে জানানোর পরে আমি বেশ কয়েক বার বাঁধ-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। বাধ্য হয়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সব জানিয়েছি। কাজ কতটা এগোল, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক তা দেখবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।” |
|
|
|
|
|