টুকরো খবর
গাড়ি উল্টে মৃত ১, জখম ১৫
দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু ও ১৫ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ মুর্মু (৫০)। বাড়ি বোরো থানার ভাঁড়ারা গ্রামে। মানবাজার থানার সিকরাডি গ্রামের বাসিন্দা সতীশ বেশরা বলেন, “রবিবার রাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মানবাজারের বনশোল গ্রাম থেকে সিকরাডি আসছিলেন তিনি। মচরাজোড় গ্রামের কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। আট জন আরোহী অল্পবিস্তর আঘাত পান। তাঁদের মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রবীন্দ্রনাথ মুর্মু ও সিরকাডির বাসিন্দা নকুল মুর্মুকে বাঁকুড়ায় স্থানান্তরিত করা হলে রাস্তাতেই রবীন্দ্রনাথবাবু মারা যান।” পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, রবিবার রাতে পুলিশ ভ্যান উল্টে জখম হলেন দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর-সহ রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ১৫ জন কর্মী। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার কতরো মোড়ের কাছে, রানিবাঁধ-বারিকুল রাস্তায়। জখমদের মধ্যে আটজন বাঁকুড়ার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। বাকিদের অবশ্য রানিবাঁধ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “রানিবাঁধের পুণশ্যা ক্যাম্প থেকে একটি বড় ভ্যানে তিরিশ জন পুলিশ কর্মীর একটি দল রাতের ডিউটিতে যাচ্ছিলেন। রাত দশটা নাগাদ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়ে। জনা পনেরো পুলিশকর্মী অল্প বিস্তর চোট পেয়েছেন। তবে কারও আঘাত গুরুতর নয়।” খবর পেয়ে থানা ও পুণশ্যা ক্যাম্প থেকে পুলিশকর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে রানিবাঁধ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান।

‘দুর্নীতি’, ঘেরাও প্রধান
বছরে ১০০ দিন কাজের প্রকল্প, ইন্দিরা আবাস যোজনা, বার্ধক্য ভাতা-সহ নানা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিপিএমের এক পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটে খাতড়া ব্লকের ধানাড়া পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। এ দিন বেলা ১১টা থেকে টানা চার ঘণ্টা চলে এই ঘেরাও-বিক্ষোভ। পরে প্রধানের কাছে তৃণমূলের তরফে ৮ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দাবিগুলি বিবেচনা করার আশ্বাস দিলে ঘেরাও মুক্ত হন পঞ্চায়েত প্রধান দশরথ মাঝি। তৃণমূলের ধানাড়া অঞ্চল সভাপতি দ্বিজপদ পাত্রের অভিযোগ, “এলাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি করছেন সিপিএমের প্রধান। পঞ্চায়েতে খরিফ শস্যের বীজ (মিনিকিট) মজুত রয়েছে। কিন্তু তা চাষিদের মধ্যে বিলি হয়নি। এ ছাড়াও অন্য কিছু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে।” তৃণমূল নেতার দাবি, “এর আগেও আমরা এ সব নিয়ে প্রধানের কাছে অভিযোগ করেছিলাম। তিনি কানে তোলেননি। তাই এ দিন বাধ্য হয়ে তাঁকে ঘেরাও করে রাখা হয়।” প্রধান দশরথবাবু অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, “সরকারি বিধি মেনেই প্রতিটি প্রকল্পে কাজ হচ্ছে। আর তালিকা তৈরি করে শস্যের বীজ শীঘ্রই বিলি করা হবে। রাজনীতির রং দেখে কখনও কাজ করিনি। রাজনৈতিক কারণেই তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ তুলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।”

সংঘর্ষে গ্রেফতার ৮
সিপিএমের একটি সভাকে ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল কোতুলপুরে। দু’দলের সংঘর্ষে তিন জন জখম হয়েছেন। তাঁদের কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ ৮ সিপিএম নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিগেডে যাওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের সঙ্গে রবিবার রাতে কোতুলপুরের লাউগ্রাম অঞ্চলের পান্না গ্রামে সভা করছিলেন সিপিএমের নেতাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের কিছু কর্মী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর পরেই দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। তৃণমূলের কোতুলপুর ব্লক সভাপতি নিমাই ঘোষের দাবি, “ওই দিন দলের তিন কর্মী-সমর্থক আমদহি গ্রামে যাচ্ছিলেন। তখন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে লাঠিসোটা নিয়ে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করে। নেতৃত্বে ছিল লাউগ্রাম অঞ্চলের সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক নবকুমার মিদ্যা।” তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের কোতুলপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক গৌরহরি পাল বলেন, “ব্রিগেডে যাওয়ার জন্য দলের সভা চলছিল। সেই সভা বানচাল করতে আসে তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী। বাধা দেওয়ার সামান্য গোলমাল হয়েছে। পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করে নবকুমার মিদ্যা-সহ ৮ জনকে ফাঁসানো হয়েছে।” পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাল্যবিবাহ রুখল প্রশাসন
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর পেয়ে বিয়ের দু’দিন আগে বাল্যবিবাহ রুখলেন বিষ্ণুপুরের বিডিও সুদীপ্ত সাঁতরা। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর ব্লকের ভড়া গ্রামে। ১৪ বছর বয়সী দীপা ধাড়া নামে এক নাবালিকার মঙ্গলবার বিয়ের আয়োজন করেছিলেন মেয়ের বাবা বংশী ধাড়া। সুদীপবাবু বলেন, “এত কম বয়সে বিয়ে দেওয়া আইনসঙ্গত নয় জানিয়ে রবিবার বংশীবাবুকে বোঝানো হয়। এতে তিনি রাজি হয়ে যান।” তিনি আরও বলেন, “আমরা বংশীবাবুকে বলেছি, প্রয়োজনে হোমে রেখে মেয়েকে সেলাইয়ের কাজ শিখিয়ে রোজগারের ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু মেয়ের বয়স ১৮ না হলে বিয়ে দেবেন না।” বংশীবাবু বলেন, “আমাদের সমাজে কম বয়সে বিয়ের চল রয়েছে। বহু কষ্টে ৫০-৬০ হাজার টাকা যোগাড় করে মেয়েকে পাত্রস্থ করতে চেয়েছিলাম। সরকার আপত্তি তোলায় মেয়ের বিয়ে বন্ধ রেখেছি।” বিয়ের জন্য মেয়ের বাবার যে টাকা খরচ হয়েছে তার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন বিডিও।

শ্রমিকদের বিক্ষোভ
— নিজস্ব চিত্র
কাজের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে নির্মীয়মাণ ইস্পাত কারখানার গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন ৩২ জন অস্থায়ী কর্মী। অবস্থানরত কর্মীদের মধ্যে শেখ সাহেব, গণেশ রুদ্র, বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, “আমরা এই এলাকার বাসিন্দা। প্রায় ৪ মাস ধরে নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত। এখন কারখানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে বহিরাগত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হবে। আমরা তা মেনে নেব না।” যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। বিষ্ণুপুরের সহশ্রম মহাধ্যক্ষ সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনাটি জেনেছি। কাল বুধবার শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আলোচনা করা হবে।”

ছাত্রীর অপমৃত্যু
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল এক স্কুলছাত্রীর। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম সুমিত্রা সিংহ (১৪)। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের রামগড়ে। রামগড় হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে কীটনাশক খায়। রাতেই বাড়ির লোকজন তাকে সারেঙ্গা খ্রীস্টিয় সেবা নিকেতনে ভর্তি করেন। পরে সেখানেই সে মারা যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণেই সে কীটনাশক খেয়েছিল। সোমবার বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহটির ময়না তদন্ত করা হয়।

বরাবাজারে ডাকাতি
বরাবাজারের টকরিয়া গ্রামে রবিবার রাতে এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আদিত্য মাহাতো বলেন, “রাত প্রায় ১১টার সময় বাড়ির দরজায় খুব জোর ধাক্কা মারে। দরজার কাছে যেতেই হুড়মুড় করে কয়েক জন বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওদের হাতে অস্ত্র ছিল। সোনা-রূপোর গয়না, নগদ টাকা নিয়ে পালিয়েছে।” পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

বিবাদে মৃত্যু
পারিবারিক বিবাদের জেরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। পুলিশ মৃত ব্যক্তির ভাইকে গ্রেফতার করেছে। মৃতের নাম বঙ্কিম সিং। বাড়ি বান্দোয়ান থানার রসিকনগর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি নিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি বঙ্কিমবাবুর ভাইদের মধ্যে বচসায় জড়ান। ওই সময় বঙ্কিমবাবুর ছোট ভাই সুধির সিং লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। লাঠির ঘায়ে বঙ্কিমবাবু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে অবস্থার অবনতি হলে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। রবিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

বধূর অপমৃত্যু
এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মতের নাম মমতা রাজোয়াড় (২৪)। বাড়ি পাড়া থানার জোড়বেড়িয়া গ্রামে। কীটনাশক খেয়ে মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় ওই বধূর। পাঁচ বছর আগে পাড়া থানার হরকতোড় গ্রামের বাসিন্দা সখীরাম রাজোয়াড়ের মেয়ে মমতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছল জোড়বেড়িয়া গ্রামের সঞ্জিত রাজোয়াড়ের। ওই দম্পতির দু’টি সন্তান আছে। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতেই কীটনাশক খেয়েছিলেন ওই বধূ। রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালে রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক বিবাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন ওই বধূ।

ছাত্রী আবাস চালু
১০০ আসন বিশিষ্ট একটি ছাত্রী-আবাস চালু হল ইঁদপুরের সরোজিনী বালিকা বিদ্যালয়ে। সোমবার ওই ছাত্রী-আবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সর্বশিক্ষা মিশনের বাঁকুড়া জেলা প্রকল্প আধিকারিক ব্রিজিত সুচিতা কুজুর। এই উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.