বাঁধ ভাঙার পরে কেটে গিয়েছে তিনটে দিন। এখন ত্রাণের কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালি পঞ্চায়েতের রমাপুর গ্রামের জলবন্দি মানুষ। সেচ দফতর রিং বাঁধের কাজ শুরু করলেও কাজের গতি নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। এ দিকে ঘরবাড়ি জলমগ্ন হওয়ায় শীতে পোষাক ও খাদ্যের অভাবে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। অনেকে স্থানীয় স্কুলবাড়ি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, দুর্ঘতদের জন্য ইতিমধ্যেই চারশো পলিথিন শিট, মাথাপিছু ১০ কিলোগ্রাম করে চাল, চিঁড়ে ও গুড় দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই ত্রাণ প্লাবিত এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দুর্গতেরা।
প্রসঙ্গত, ভরা কোটালে রায়মঙ্গল নদীর জলের ধাক্কায় শুক্রবার রাতে বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালি পঞ্চায়েতের রমাপুরে কয়েকশো ফুট নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্লাবিত হয় গ্রাম। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন এলাকায় কংক্রিটের বাঁধ তৈরির জন্য জমির প্রয়োজন। সে বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার বিকেলে সাহেবখালি পঞ্চায়েতে আলোচনায় বসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, সেচ দফতর ও প্রশাসনের কর্তারা। কী ভাবে রমাপুর এলাকায় বাঁধ মেরামত করা হবে সে বিষয়ে সেখানে আলোচনা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা খগেন কামিলা বলেন, “বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ত্রাণও অপ্রতুল। দ্রুত বাঁধ মেরামত করা না হলে দুর্গত মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে।” |