একটা চৌকো কাঁচের প্লেট। আর তার উপরে খাড়া দাঁড় করানো কাচের লম্বা ফানেল। ফানেলটি বেশ লম্বা। ভিতরে গাঢ় রঙের তরল। সেই কাচের নল মুঠোয় চেপে ধরলে হাতের তালুর উত্তাপে নলের তরল ওঠানামা করে। এই মুঠোর জোর দিয়ে মাপা হচ্ছে প্রেমিক বা প্রেমিকার ভালবাসার গভীরতা। নাম ‘লাভমিটার’। দাম ছোট ৭০ টাকা। বড় ১১০ টাকা। ভ্যালেন্টাইনস ডে’র বাজারে সব থেকে বেশি বিকোচ্ছে এই লাভমিটারই। আফটার শেভ আর পারফিউমের বাজারও চড়া। তার সঙ্গে রয়েছে কার্ড, কলম, সিডি, বই এমনকী মোবাইলের বিক্রিও বেশ রমরমিয়ে চলছে। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে নিশ্চয়ই গোলাপ। গোলাপের এমন চাহিদা অন্য কোনও উৎসবে হয় না। চাহিদা অনুযায়ী তাই অমিলও গোলাপ। দামও চড়েছে। গোলাপের দাম এক একটা ৭-১০ টাকা। একশো গোলাপ কিনতে সাড়ে চারশো-সাড়ে পাঁচশো টাকা লাগছে। আলোয় সেজে উঠেছে শহরের নামী-দামি বিভিন্ন রেঁস্তোরা। পিছিয়ে নেই পার্কগুলিও। কোনও পার্ক কর্তৃপক্ষ আবার প্রবেশ মূল্যের সঙ্গে উপহার হিসেবে কিশোর-কিশোরীদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব মিলিয়ে আজ, মঙ্গলবার ‘ভ্যালেন্টাইনস্ ডে’ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে অন্য এক ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শহর জুড়ে। ইন্দ্রপ্রস্থের এক রেঁস্তোরা মালিক শৈবাল রায় বলেন, “বাটার গার্লিক চিকেন, কন্টিনেন্টাল ডিস হিসেবে চিকেন স্টেক। কোকের সঙ্গে আদার রস ও মুসুম্বি রস মিশিয়ে তৈরি হবে ইতালিয়ান স্মুচ আর পানীয় তৈরির গরম জলের সঙ্গে বিভিন্ন ভেষজ উপকরণ মিশিয়ে সোনালি রঙের থাই সিসিলিয়ান।” অন্য এক রেঁস্তোরা মালিক সীমান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ দিন রেঁস্তোরায় উঠতি ছেলেমেয়েদের ব্যাপক ভিড় হয়। ফলে স্পেশাল মেনু করতে পারি না। এমনকী তৈরি করতে বেশি সময় লাগবে এমন মেনুও না রেখে চটজলদি মেনুতে সাজাতে হয়।” |