বেলডাঙার পুরসভার প্রধান অনুপমা সরকারের বাড়িতে রবিবার রাতে চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখাল এক দল যুবক। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় স্পষ্ট না হলেও অনুপমাদেবীর দাবি, তারা সকলেই কংগ্রেসের সমর্থক।
সোমবারই মুর্শিদাবাদ দলত্যাগের হুমকি দেওয়া অনুপমাদেবী ও তাঁর ছয় অনুগামীর জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু অধীরবাবু এ দিনও দিল্লি থেকে ফিরতে না পারায় সেই বৈঠক পিছিয়ে গিয়েছে বুধবার পর্যন্ত। তারপরেএ অনুপমাদেবীরা কংগ্রেস থাকা না-থাকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
তার আগেই, রবিবার রাত ন’টা নাগাদ আচমকাই অনুপমাদেবীর রেল বাজার এলাকার বাড়িতে চড়াও হয় ওই কংগ্রেস সমর্থকেরা। দরজায় ক্রমাগত ধাক্কা মেরে শুরু করে অশ্রাব্য গালিগালাজ। নিচে নেমে আসেন পুরপ্রধান। সেই সময়ে তাঁকে ধাক্কাও মারা হয় বলে অভিযোগ। রাতেই খবর যায় স্থানীয় থনায়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তাঁর অনুগামী কাউন্সিলরেরা। পুলিশ আসার আগেই অবশ্য পালিয়ে যায় হামলাবাজেরা। সোমবার সকালে পুলিশ ওই ব্যাপারে জয়দেব দাস নামে এক জনকে গ্রেফতার করে। তিনি পরিচিত কংগ্রেস কর্মী বলেই জানতে পারা গিয়েছে। অনুপমাদেবী বলেন, “রবিবার রাতে জয়দেব দাস ও তার কিছু সাঙ্গোপাঙ্গ মদ্যপ অবস্থায় আমার বাড়িতে হামলা করেছিল। ওরা সকলেই কংগ্রেস সমর্থক বলে সন্দেহ।”
বেলডাঙা পুরসভায় টানাপোড়েন চলছিলই। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুরসভার কংগ্রেস প্রধান-সহ ৬ জন কাউন্সিলর সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের দল ত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। শুরু হয় তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা বস্তুত মুর্শিদাবাদ জেলায় বেলডাঙা পুরসভার ওই দলত্যাগীরা তৃণমূলে যোগ দিলে জেলায় খাতা খপলবে তৃণূল। দস ত্যাগের কারণ হিসেবে অনুপমাদেবীরা দায়ি করেছিলেন উপপুরপ্রধান ভরত ঝাওরকে। পরে তাঁরা এ ব্যাপারে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মত হন। ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিক তার আগেই এই হামলা কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। পুরপ্রধান এ দিনও জানান, তাঁরা জেলা সভাপতির সঙ্গে ১৫ ফেব্রুয়ারি আলোচনায় বসছেন। সেখানেই স্থির হবে তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ। |