রাস্তার ধারে যেখানে সেখানে পার্ক করে রাখা গাড়ি ধরপাকড় শুরু করে দিল বহরমপুরের ট্র্যাফিক পুলিশ। গাড়ির চাকায় হুইল লক বা কাঁটা লাগিয়ে সপ্তাহের প্রথম দিনেই যত্রতত্র গাড়ি রাখার চেনা ‘ফ্যাশনে’ হুঁশিয়ারি দিল ট্রা্যফিক পুলিশ।
বহরমপুরের পুরপ্রধানকে সঙ্গে নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর সপ্তাহান্তে শনিবার সারা দিন শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরে ছিলেন। দেখিয়ে ছিলেন রাস্তায় যেখানে সেখানে কীভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে দু কিংবা চার চাকার যানবাহনেরা। সোমবার সে ব্যাপারে শাসন শুরু করে দিল পুলিশ। বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে নগদ জরিমানাও আদায় করল পুলিশ। ডেপুটি পুলিশ সুপার (ট্র্যাফিক) আফসারউদ্দিন আহমেদ বলেন, “রাস্তা দখল করে অবৈধ ভাবে পার্কিং করে রাখা গাড়ি ধরপাকড় শেষ পর্যন্ত শুরু করে দেওয়া হল। এ ছানা উপায় ছিল না। এত দিন ওই হুইল লকগুলি অব্যবহৃত হয়েই পড়ে ছিল। এ বার থেকে তার ব্যবহার শুরু হল।” |
বছরের শুরুতেই পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনের সময়ে জেলা ট্র্যাফিক পুলিশ সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেআইনি পার্কিং রোখা সম্ভব হয়নি। ফলস্বরূপ শহরের বিভিন্ন মোড়ে যানজটও অব্যাহত ছিল। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যানজট হওয়ার জন্য রাস্তা দখল করে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা অনেকাংশে দায়ি। বিশেষ করে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ রোডের উপরে মুর্শিদাবাদ ডিষ্ট্রিক্ট মিনি ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন লরি দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে ওই রাস্তা প্রায় অগম্য হয়ে পড়ে প্রায়ই। সংগঠনের সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “ট্র্যাফিক পুলিশ কঠোর হলে ততো বালই। এই জরিমানা বাসের ক্ষেত্রেও কিন্তু কার্যকরী করতে হবে।”
পাশাপাশি, প্রতি দিনই সার দিয়ে মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে রাখা হয় রানিবাগান, গোরাবাজার, কৃষ্ণনাথ কলেজ ঘাট, মোহনের মোড়ে। বাসস্ট্যান্ডেও একই চেহারা। ফলে ওই চত্বরে যান চলাচলের কোনও উপায়ই প্রায় থাকে না। ডিএসপি (ট্র্যাফিক) জানান, অবৈধ ভাবে গাড়ি পার্কিং করার জরিমানা মোটর ভেহিক্যাল আইন অনুযায়ী ১০০ টাকা। তবে ক্রমান্বয়ে ভুল হতে থাকলে জরিমানার অঙ্ক বাড়তে থাকবে। প্রয়োজনে বাজেয়াপ্ত করা হবে লাইসেন্সও। সেই সঙ্গে গাড়ির অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক না থাকলে সব মিলিয়ে ন্যূনতম দু-হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেন। |