|
|
|
|
উন্নয়নের কাজ খতিয়ে দেখলেন অতিরিক্ত সচিব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দু’দিন ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম খতিয়ে দেখলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) জয়া দাশগুপ্ত। এলাকা ঘুরে দেখে বিভিন্ন কাজকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তিনি প্রশাসনিক বৈঠকও করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বারের জেলা সফরে এসে মূলত কয়েকটি জল-প্রকল্প ও আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেল তৈরির বিষয়টিই খতিয়ে দেখেছেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। গ্রামোন্নয়নের অন্য কয়েকটি প্রকল্প সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের এই সফর নিশ্চিত ভাবেই কাজে গতি আনবে।”
উন্নয়নমূলক কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে গত শনিবার জেলায় আসেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। ওই দিন দুপুরে সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুরের কয়েকটি এলাকায় গিয়ে আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য তৈরি হোস্টেল দেখেন। কাজ কতদূর এগিয়েছে, কী ধরনের অসুবিধা হচ্ছে, আর কত দিনের মধে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে--সে সব নিয়ে তিনি খোঁজখবর নেন। স্থানীয় মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন। অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক প্রণব ঘোষ। জঙ্গলমহল এলাকা থেকে ফিরে ওই দিন সন্ধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন জয়াদেবী। কোন খাতে কত টাকা এসেছে, এখনও পর্যন্ত কত টাকা খরচ হয়েছে, উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্প কী অবস্থায় রয়েছে, সে সব নিয়েই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। রবিবার ফের ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় যান অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন। ধেড়ুয়ায় এসে জল-প্রকল্পের কাজ কী অবস্থায় রয়েছে, সে সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন।
এই প্রথম নয়, গত সেপ্টেম্বরেই পশ্চিম মেদিনীপুরে এসেছিলেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)। সে বার অবশ্য শুধুমাত্র ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যানের (আইএপি) কাজই খতিয়ে দেখেছিলেন। ‘পিছিয়ে পড়া’ জঙ্গলমহল এলাকার জন্যই ওই প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থে লালগড়, শালবনি, গোয়ালতোড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে কমিউনিটি হল, মার্কেটশেড, গভীর নলকূপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহল এলাকার উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন। এরই মধ্যে কয়েক দফায় জেলায় এসে তিনি একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ নানা সমস্যায় সে ভাবে এগোচ্ছে না বলেই অভিযোগ। অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের এই সফর সেই সব সমস্যার জট কাটাতে পারে বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনের একাংশ।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “কাজ এগোনোর ক্ষেত্রে অনেক সময়েই নানা জটিলতা দেখা দেয়। সেই সব জটিলতা কাটানো না গেলে কাজ এগোনো যায় না।” জেলা-সফর শেষ করে রবিবার রাতেই কলকাতায় ফেরেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। এ দিকে, অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের সফরের রেশ না কাটতেই সোমবার জেলাস্তরে মনিটারিং কমিটির বৈঠক হল। সেখানে মহকুমাশাসকেরা ছাড়াও বিভিন্ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা ছিলেন। বৈঠকেও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা হয়। |
|
|
|
|
|