নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্যামপুর |
পাঁচ দিন টানা বন্ধ থাকার পরে আজ, মঙ্গলবার থেকে ফের বাগনান থেকে শ্যামপুরের বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল শুরু হচ্ছে। সোমবার বিকেলে উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসকের দফতরে বাসমালিক এবং চালক-কন্ডাক্টরদের নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়। হাজির ছিলেন উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায়ও। এই বৈঠকেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মহকুমাশাসক দেবকুমারনন্দন বলেন, “শ্যামপুর থেকে বাগনান পর্যন্ত রাস্তাটি তৈরির জন্য যে সাত কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি হয়েছিল তা নাবার্ড-এর অনুমোদন পেয়েছে বলে পূর্ত (সড়ক) দফতর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। তবে টেন্ডার-সহ অন্যান্য প্রক্রিয়ার পরে কাজ শুরু করতে কিছুটা সময় লাগবে।” মহকুমাশাসক জানান, অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে পূর্ত (সড়ক) দফতর জানিয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় তারা রাস্তায় জরুরি কিছুটা মেরামতি করবে। বৈঠকে সে কথা জানানোর পরে বাস মালিকেরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছেন। বাসমালিকদের পক্ষে অরিজিৎ দলুই বলেন, “সব কর্মীকে খবর দেওয়া হয়নি। ফলে মঙ্গলবার থেকে পুরোপুরি বাস চালানো হয় তো সম্ভব হবে না। তবে এ দিন থেকে আংশিক বাস চালানো হবে। বুধবার থেকে পুরোমাত্রায় বাস চলবে।”
বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রাস্তা এতটাই বেহাল যে এর উপর দিয়ে গাড়ি চালানো কার্যত অসম্ভব। বেহাল রাস্তা দ্রুত মেরামতির দাবিতেই বাসমালিকেরা গত বৃহস্পতিবার থেকে বাগনান থেকে শ্যামপুরের বিভিন্ন রুটে বাসচলাচল বন্ধ করে দেন। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেকার এবং অটোরিকশাও। ফলে নিত্যযাত্রীরা বিপাকে পড়েন।
পুলকবাবু বলেন, “দিনের পর দিন এ ভাবে ধর্মঘট চলার ফলে নিত্যযাত্রীরা প্রচণ্ড অসুবিধায় পড়ছেন। সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করতে আমি মহকুমাশাসককে দ্রুত জরুরি বৈঠক ডাকার জন্য অনুরোধ করি। বৈঠকে বাসমালিকদের রাস্তা মেরামতির বিষয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।”
আজ, মঙ্গলবার থেকেই যাতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় মেরামতির কাজ শুরু হয় সে বিষয়ে পূর্ত (সড়ক) দফতরকে অনুরোধ করা হবে বলে পুলকবাবু জানিয়েছেন। এ দিকে, আজ মঙ্গলবারেই রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে মহাকরণে বৈঠকে বসছেন বাস মালিকেরা। অরিজিৎবাবু বলেন, “পরিবহণমন্ত্রী নিজেই আমাদের বৈঠকে ডেকেছেন। তাঁর কাছেও আমরা রাস্তা তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য দাবি জানাবো।” |