নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হল দু’টি বাড়ি। সোমবার ভোরে কুলটি থানার সাঁকতোড়িয়ায় ধস নামে। মাটিতে ফাটল ধরে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইসিএলের কয়েক জন বিশেষজ্ঞ।
সোমবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শিশুবাগান অঞ্চলের একটি বস্তিতে এই ধস নেমেছে। ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ির কর্তা মহম্মদ খালিদ জানান, রবিবার বিকেলে তাঁরা দেখতে পান, ঘরের সামনের জমিটি আচমকা বসে গিয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই মাটিতে ফাটল ধরে। ক্রমশ ফাটল বাড়তে থাকে এবং আরও কিছু অংশ বসে যেতে শুরু করে। মহম্মদ খালিদ বলেন, “বিপদ বুঝে আমরা ঘরের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করি। নিজেরাও নিরাপদ জায়গায় চলে যাই।” সোমবার ভোরের দিকে অবস্থার আরও অবনতি হয়। মাটির ফাটল আরও বেড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি দু’টির স্তম্ভ এবং এক পাশের দেওয়াল ভেঙে পড়ে। আশেপাশের কয়েকটি বাড়িতেও ফাটল ধরে যায়। বেশ কিছু অংশের জমি বসে যায়। জমির ফাটল দিয়ে অনর্গল কটূ গন্ধযুক্ত ধোঁয়া বেরোতে থাকে। |
সোমবার সকালে ধস ও ফাটলের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। কটূ গন্ধযুক্ত ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় বাসিন্দাদের অনেকে অসুস্থ বোধ করেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, মাস চারেক আগেই এই বস্তি সংলগ্ন এলাকায় ধস নেমেছিল। সে বারও মাটি ফুঁড়ে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। ধসের ফলে একটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ দিন ফের ধসের প্রসঙ্গে আসানসোলের মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত জানান, ওই এলাকাটি ধসপ্রবণ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেক আগেই অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকায় যান ইসিএলের কয়েক জন খনি বিশেষজ্ঞ। এ দিকে সাঁকতোড়িয়া গ্রাম সমিতির সহ-সভাপতি বাচ্চু মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, ধস, ফাটল ও ধোঁয়া বেরোনো বন্ধ করার জন্য ভূগর্ভে জল ও বালির মিশ্রণ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক উদ্যোগের আশ্বাস দিয়েছেন। |