|
|
|
|
অক্সিজেন না পেয়ে মৃত |
টাকা দাবি, অভিযোগ হাসপাতালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
হাসপাতালের গুদামে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রয়েছে। অথচ অন্যায় ভাবে মোটা টাকা দাবি করে সিলিন্ডার না দেওয়ায় মুমুর্ষু এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। রবিবার রাতে ইসলামপুর হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত রোগীর নাম আবদুল রহিম (৩৫)। বাড়ি ইসলামপুরের হুসেন বস্তিতে। পেশায় রিকশা চালক ওই ব্যক্তি এ দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে বেলা ১০ নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। আবদুলের স্ত্রী সাবেরাবিবির পরিচারিকার কাজ করেন। তাঁর অভিযোগ, “চিকিৎসক দেখে অক্সিজেন চালু করতে বলেন। ওয়ার্ড থেকে তা চেয়ে স্লিপ পাঠানো হয়। অথচ গুদামের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী তার বিনিময়ে ১২০০ টাকা চান। অত টাকা নেই জানালে তাঁরা সিলিন্ডার দিতে চাইছেন না দেখে পরিচিতদের টাকা জোগাড় করে আনতে বলি। টাকা জোগাড় না হওয়ায় সিলিন্ডার দেয়নি। রাত ১০টা নাগাদ ও মারা যায়। ওই কর্মীরা অক্সিজেন সিলিন্ডার দিলে আমার স্বামী মারা যেতেন না।” কথাগুলো বলতে গিয়ে অঝোরে কেঁদে ফেলেন তিনি। রাতে ঘটনার সময় নিজের পরিচিত আত্মীয়কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি। সে সময় সাবেরা বিবি তাঁর কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানান। হাসপাতাল থেকে নিখরচায় যেখানে রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার কথা সেখানে কেন মোটা টাকা চাওয়া হবে তা বুঝতে পারছেন না তিনিও। তা ছাড়া অক্সিজেন সিলিন্ডার না দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তখনই গুদাম ঘুরে দেখে তিনিও অবাক। পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারও রয়েছে গুদামে। অপর এক রোগীর পরিবার একই ভাবে টাকা দিতে না পারায় সিলিন্ডার পাচ্ছেন না জানালে বিধায়ক তখনই ওই রোগীর সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে দেন। বিধায়ক বলেন, “অভিযোগ গুরুতর। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়েছি।” এই ঘটনায় বিব্রত জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ঘটনা তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এর পিছনে যুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না।” |
|
|
|
|
|