ডায়মন্ড হারবার রোডে বাসের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙচুর ও পথ অবরোধের ঘটনা ঘটল। রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার আমতলায়। এর জেরে ডায়মন্ড হারবার রোড অবরোধ হওয়ায় প্রায় দু’ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমতলার মতো গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ হওয়ায় আটকে যায় কলকাতা থেকে দক্ষিণে যাওয়ার অনেকগুলি রাস্তা।
পুলিশ জানিয়েছে, আমতলার নবপল্লি এলাকার বাসিন্দা দীপক রায় (৪২) এ দিন সাইকেলে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময়ে কলকাতা থেকে রায়চকগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। বাসের পিছনের চাকা চলে যায় দীপকবাবুর উপর দিয়ে। হাসপাতালে দীপকবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দীপকবাবু বজবজের বিডিও অফিসে চাকরি করতেন।
এ দিকে, দীপকবাবুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রায় কয়েকশো উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দা আমতলা মোড় অবরোধ শুরু করেন। এর জেরে যানজট হয়। উত্তেজিত জনতা কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করে। কিছু গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এক যাত্রী পিন্টু দাস বলেন, “রায়চক যাচ্ছিলাম। অনেকক্ষণ বাসটা আমতলায় আটকে ছিল। হঠাৎ কিছু লোক আমাদের বাসে হুড়মুড় করে উঠে এসে বলে, বাস যাবে না। নেমে যান। এক রকম বাধ্য হয়েই নামতে হয় আমাদের। নেমে দেখি বিশৃঙ্খল অবস্থা। কয়েক জন বাসের গায়ে পাথর ছুড়ছে।”
পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘাতক গাড়ির চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় ঘণ্টা দুই পরে অবরোধ উঠলে তিনটে নাগাদ ডায়মন্ড হারবার রোডে ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেন, “ডায়মন্ড হারবার রোডের আমতলায় ট্রাফিক ব্যবস্থা খুব ভাল। পুলিশও আছে পর্যাপ্ত। তা সত্ত্বেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অন্য দিকে, শিয়ালদহের এন আর এস হাসপাতালের সামনে রবিবার দুপুরে পথ দুর্ঘটনায় শেলি চট্টোপাধ্যায় (৫০) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। শেলিদেবীর বাড়ি বেহালার কেদার চ্যাটার্জি লেনে। পুলিশ জানায়, এ দিন এন আর এস হাসপাতালের সামনের রাস্তা পেরোনোর সময়ে গড়িয়াগামী একটি বাস তাঁকে ধাক্কা মারে। এন আর এস হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। |