ভরা কোটালে রায়মঙ্গল নদীর জলের ধাক্কায় শুক্রবার রাতে হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালি পঞ্চায়েতের রমাপুরে কয়েকশো ফুট নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্লাবিত হয় গ্রাম। দু’দিন পরে, রবিবারেও বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁদের আশঙ্কা, অবিলম্বে বাঁধ মেরামতি শুরু না হলে বাঁধের ভাঙন আরও বাড়বে।
শুক্রবার গভীর রাতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ওই গ্রামের কয়েকশো বিঘা জমির ফসল ও মেছোভেড়ি চলে যায় জলের তলায়। বাড়িঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় অনেকেই উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনের সর্বত্র জানানো সত্ত্বেও রবিবার বিকেল পর্যন্ত কয়েকটি বাঁশ ছাড়া বাঁধ মেরামতির তেমন কোনও সরঞ্জাম পৌঁছয়নি। ত্রাণও অপ্রতুল। |
বসিরহাটের মহকুমাশাসক অনামিকা মজুমদার বলেন, “৩০০ ফুট বাঁধ ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত শতাধিক পলিথিন পাঠানো হয়েছে। জল কমলে বাঁধের কাজ শুরু করার জন্য সেচ দফতরকে বলা হয়েছে। প্রয়োজন মতো ত্রাণও পাঠানো হচ্ছে।” গ্রামবাসীদের দাবি, বাঁধ অন্তত ৫০০ ফুট ভেঙেছে। বসে গিয়েছে অন্তত ১০০০ ফুট।
মহকুমা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ বাঁধ ভাঙতে শুরু করে। ক্রমশ তা বড় আকার নেয়। কয়েক বছর আগে আয়লার স্মৃতি এখনও টাটকা ওই এলাকার বাসিন্দাদের মনে। তাই আতঙ্কে রাত থেকেই অনেকে বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গার সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবু বক্কর গাজি বলেন, “ভাঙন বাড়ছে। প্রায় ৫০০ মানুষ বাঁধের উপরে এবং স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। সর্বত্র জল থাকায় তাঁদের রান্না করতে অসুবিধা হচ্ছে।” রবিবার স্থানীয় সাহেবখালি পঞ্চায়েতের তরফে দুর্গতদের মধ্যে চিঁড়ে-গুড় বিলি করা হয়। পলিথিনও দেওয়া হয়। তবে, শুধু রমাপুরেই নয়, হিঙ্গলগঞ্জের পুকুরিয়া, সন্দেশখালির ৬ নম্বর বাউনিয়া এলাকা এবং হাড়োয়ার গাজিখালিতে নদীবাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে চাষজমিতে। |