কুপিয়ে খুন করা হয়েছে জগদীশ বিশ্বাস (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে। পেশায় ভ্যানচালক ওই ব্যাক্তির বাড়ি শান্তিপুরে। কংগ্রেস তাকে সক্রিয় দলীয় কর্মী বলে দাবি করেছে। তাদের অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই খুনের ঘটনায় জড়িত। স্থানীয় বিধায়ক অজয় দে বলেন, “নিহত ওই ব্যক্তি আগে সিপিএম কর্মী ছিলেন। কিন্তু ওই এলাকায় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তান্ডব সহ্য করতে না পেরে পুরভোটের আগে আমাদের দলে যোগ দেন। এলাকায় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জমির দালালি করত। তার প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।” সিপিএমের শান্তিপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক শান্তনু চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, “নিহত ব্যাক্তি সিপিএম কর্মী নন। বিধানসভা ভোটের পর আমরা ওই এলাকায় কংগ্রেসের সন্ত্রাসের জন্য কোনও কর্মসূচিই নিতে পারছি না। আসলে কংগ্রেস ও তৃণমূল আশ্রিত সমাজ বিরোধীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন ওই ব্যাক্তি।’’ তৃণমূলের জেলা কমিটির সম্পাদক মৃণাল মৈত্র বলেন, “ওই ঘটনা কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত জগদীশ বিশ্বাসের দুই স্ত্রীর দু’টি বাড়ি শান্তিপুরের সূত্রাগড় মানিকনগর ও রাধাকৃষ্ণ পল্লিতে। তিনি দু’জায়গাতেই থাকতেন। রবিবার সকালে ভ্যান নিয়ে কালনাঘাট যাওয়ার পথে জামতলার কাছে কার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একদল দুষ্কৃতী এবং কোপাতে থাকে। পেটে দু’টি গুলিও করে। তারপর মাঠে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। জগদীশবাবুর ছেলে প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন, “বাবা সক্রিয়ভাবে কংগ্রেস কর্মী ছিল। এর আগেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্যি হবে ভাবিনি।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা ছাড়াও অন্য অভিযোগ আছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান পুরোনো কোনও শত্রুতার জেরেই ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। জগদীশবাবুর এক স্ত্রী সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমন মিশ্র বলেন, “খুনের কারণ পরিষ্কার নয়। তদন্ত শুরু হয়েছে। একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে ওই ব্যাক্তির নামেই আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ ছিল।” |