পুলিশের জালে ২ অস্ত্র কারবারি
হরমপুর লাগোয়া উত্তরপাড়া মোড় থেকে অস্ত্র চোলাচালান কারবারের সঙ্গে জড়িত দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৪টি ম্যাগজিন, ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। শনিবার রাতে জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন স্কোয়াড ও বহরমপুর থানার পুলিশ এক সঙ্গে হানা দিয়ে বানু শেখ ও মুজিবর শেখ নামে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে। বানুর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা থানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থানার কেঁপলামারি গ্রামে। মুজিবরের বাড়ি সুতি থানার রঘুনাথপুরে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ধৃতদের কাছ থেকে ৭.৬৫ বোরের দুটি স্বয়ংক্রিয় পিস্তল, ৪টি ম্যাগজিন ও ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে ওই অস্ত্র কারবারীদের মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতারের জন্য স্পেশাল অপারেশন স্কোয়াডের এক দল পুলিশ অফিসার ওই রাতেই পাকুড়ে যায়। কিন্তু পুলিশ বাড়ি ঘিরে ফেলছে বুঝতে পেরে ওই দুষ্কৃতী ছাদ ডিঙিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।”
রবিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আরও দুজন দুষ্কৃতীকে পুলিশ হাজির করে। তাদের নাম আলতাফ শেখ ও জাহাঙ্গির মণ্ডল। আলতাফের বাড়ি বেলডাঙা থানার মাঠপাড়ায় ও জাহাঙ্গির বহরমপুর লাগোয়া চুঁয়াপুর এলাকার বাসিন্দা। বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতাল চত্বর থেকে ওই দুজনকেও পুলিশ শনিবার রাতেই গ্রেফতার করে। পুলিশ সুপার বলেন, “আলতাফ ও জাহাঙ্গির মূলত নকল গয়না বিক্রি করে সাধারণ মানুষকে ঠকাত। সোনার দোকানের ছাপা রসিদের মধ্যে কানের দুল বা ছোট আকারের সোনার বিস্কুট মুড়ে রাখত। মহিলাদের কাছে গিয়ে ওই রসিদ দেখিয়ে তারা সহানুভূতি আদায় করার জন্য ‘পটেকমার হয়ে গিয়েছে’ বলে জানাত। এর পরে ওই সোনার গহনা বন্ধক রাখার নাম করে সাধারণের কাছ থেকে ২-৩ হাজার হাতিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিত। এভাবেই তারা লোক ঠকিয়ে বেড়াত।” বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ তাদের উপরে গত কয়েক দিন ধরে নজরদারি চালাচ্ছিল। শনিবার রাতে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পুলিশ সুপার বলেন, “ধৃতদের কাছ থেকে ১১ কিলো গাঁজাও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।” এ দিকে অস্ত্রকারবারি বানু ও মুজিবর গত ১৬ বছর ধরে ওই অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জেরা করে জানতে পেরেছে। বারুদ তৈরির কাজে পটু মুজিবর। এর আগেও মুজিবর বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতে গিয়ে সাগরদিঘি, সামশেরগঞ্জ, সুতি থানার পুলিশের হাতে বেশ কয়েক বার ধরা পড়েছে। মাস চারেক আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়ে সে।পুলিশ তারপরে এর পরে ধৃত ওই দুজনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারেঅস্ত্র কারবারের মূল পাণ্ডা রেজাউল শেখ। তার বাড়ি পাকুড় থানার কেঁপলামারি গ্রামে। এর পর জেলা পুলিশ প্রশাসনের স্পেশাল অপারেশন স্কোয়াডের সদস্য এক দল পুলিশ ওই রাতেই কেঁপলামারি গ্রামে হানা দেয়। ঘটনার সময়ে রেজাউল দোতলার একটি ঘরে ছিল। চার পাশ পুলিশ ঘিরে ফেলেছে দেখে দোতলার জানালা দিয়ে পাশাপাশি লাগোয়া কয়েকটি বাড়ির ছাদ ডিঙিয়ে নিচে নেমে পুকুরের জলে ঝাঁপ দিয়ে রেজাউল সাঁতরে এলাকা ছেড়ে পালায়। পুলিশ সুপার বলেন, “ধৃতদের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে।” ১ জানুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি লালগোলা থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার হেরোইন-সহ হেরোইন তৈরির কাঁচামাল ও সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। ৫ ফেব্রুয়ারি বহরমপুর বাসসল্ট্যান্ড চত্বর থেকে ৫টি পিস্তল-সহ বেশ কিছু ম্যাগজিন উদ্ধার করে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.