প্রিমিয়ার সকার লিগ বা পি এল এসের ছয়টি ক্লাবকে সরাসরি জেলা সংস্থার অনুমোদন দেওয়া হবে। আজ সোমবার দিল্লিতে ফেডারেশনের যে জরুরি সভা বসছে তাতে নিজেদের পাঠানো চিঠির সঙ্গে ছয়টি জেলার সম্মতিপত্র জুড়ে দিচ্ছে আই এফ এ। সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় রবিবার সন্ধ্যায় বলে দিলেন, “ফেডারেশন যা যা জানতে চেয়েছে বা জানতে চাইতে পারে, সব কিছুর উত্তরই আমরা চিঠিতে দিচ্ছি। যাতে সমস্যা পুরোপুরি মিটে যায়।” জানা গিয়েছে, বিদেশি ফুটবলারদের জন্য টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিসহ নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
কিন্তু তাতেই কি ফেডারেশন কর্তারা পি এল এস করার সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দেবেন? রাত পর্যন্ত যা খবর, তাতে ‘সম্মতি দিয়ে দেব’ জেলা সংস্থাগুলির এই চিঠিতে সন্তুষ্ট না-ও হতে পারেন ফেডারেশন কর্তারা। তাঁরা চাইছেন জেলাগুলি থেকে অন্য রকম চিঠি। যেখানে লেখা থাকবে, ‘ক্লাবগুলিকে সংস্থার নিয়ম মেনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ ফলে শেষ পর্যন্ত সভায় কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কিত আই এফ এ-র একাংশ। ফিফার নিয়মে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিদেশি ফুটবলারদের ছাড়পত্রের আবেদনের শেষ দিন। কোনও কারণে নতুন কোনও শর্ত তুলে ফেডারেশন যদি পি এল এসের ক্লাবগুলির ফিফা থেকে দেওয়া পাসওয়ার্ডের কার্যকর না করে, তা হলেই বিরাট সমস্যা তৈরি হবে।
রবিবার দুপুরে জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মধ্য কলকাতার একটি ক্লাবে বসেছিলেন আই এফ এ কর্তারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত-ও। চার জেলার কর্তারা সেখানে ছিলেন। শিলিগুড়ি এবং বর্ধমানের কর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলা হয়। দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টা আলোচনার পর জেলা কর্তারা অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দেন। অনেক রাতে সম্মতির চিঠিও চলে আসে ছয়টি জেলা থেকে। আজ সোমবার সকালে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে ফেডারেশনে। কিন্তু ফেডারেশন সচিব যে চিঠি দাবি করছেন তা করতে গেলে জেলার সাধারণ সভা ডাকতে হবে। আছে আরও অনেক প্রক্রিয়া। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তা করা কিছুতেই সম্ভবও নয়। ফেডারেশন ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত সভায় যাওয়ার আগে বললেন, “পিএলএস হবেই। কাগজপত্র নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। সেগুলো করতে একটু সময় লাগবে। তবে হয়ে যাবে। এই টুর্নামেন্ট হলে জেলার ফুটবলে নতুন দিক উন্মোচিত হবে।”
|