দেড় মাসের বিরতির আগে শেষ ম্যাচ জিতে ডেম্পো (৪৩) ছয় পয়েন্টে এগিয়ে গেল দু’নম্বর মোহনবাগানের (৩৭) থেকে। ন’জনে খেলে স্পোর্টিং ক্লুবকে ২-১ হারিয়ে, ইস্টবেঙ্গলকে (৩৫) চারে ফেলে তিনে উঠে গেল সালগাওকর (৩৬)। প্রয়াগ ইউনাইটেডও ১-২ হারল পুণে এফসি-র কাছে। পুণে ও চার্চিলের ৩৪ পয়েন্ট। প্রয়াগ ৩২ পয়েন্টে সাত নম্বরে। ইস্টবেঙ্গলের খারাপ খবরের দিনে তাঁদের সমর্থকদের ভাল খবর শোনালেন লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা র্যান্টি মার্টিন্স (২৩টি)। পৈলানের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে ২-০ জিতে র্যান্টি আবার কলকাতায় খেলার আগ্রহ দেখালেন। বললেন, “ডেম্পোর সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি আছে। তার পর কলকাতায় খেললে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে চাই।” তবে তাঁর ‘কিন্তু’ও রয়েছে, “কলকাতায় সমর্থকদের চাপ প্রচুর। জিতলে নাচানাচি হয়, দল হারলেও সমর্থকদের টিমের পাশে থাকা উচিত।” প্রয়াগ-পুণে ম্যাচে পুণের গোল কেইতা ও কর্মা-র। প্রয়াগের গোল ইয়াকুবুর। সালগাওকরের কৃতিত্ব রাহুল কুমার ও ইসফাক আমেদ লাল কার্ড দেখলেও তারা ২-১ হারিয়েছে স্পোর্টিং ক্লুবকে। চতুর্থ রেফারির সঙ্গে তর্ক করে লাল কার্ড দেখলেন তাদের কোচ করিম বেঞ্চারিফাও। যুবভারতীতে পৈলান অ্যারোজ হারল ডেম্পোর বিরুদ্ধে প্রায় এক ঘণ্টা দশ জনে খেলে। ৩৪ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন পৈলান গোলকিপার নবীন কুমার। বক্স ছেড়ে বেরিয়ে কোকো সাকিবোকে ধাক্কা মেরেছিলেন তিনি। এর পর গোলের নীচে দায়িত্ব সামলাতে হয় বারাসতের ছেলে সায়ন রায়কে।
|
সুব্রত ভট্টাচার্য এবং প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জুটিকেই পরের মরসুমে দেখা যাবে মোহনবাগানে? কর্তারা মুখ না খুললেও, যে ভাবে তাঁরা এগোচ্ছেন, তাতে বড় ঝামেলা না পাকালে সেই সম্ভাবনাই প্রবল। আই লিগে মোহনবাগানের ৬ ম্যাচ বাকি। বাকি কলকাতা লিগের ম্যাচ ও আইএফএ শিল্ডও। অথচ কার্যত মরসুমের মাঝপথে এসেই টিডি ও কোচের কাছে ফুটবলার তালিকা চেয়ে চিঠি দিচ্ছে মোহনবাগান। অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “পরের মরসুমে কাকে রাখা উচিত, কাকে বাদ দেওয়া উচিত জানতে চেয়ে সোমবার ওঁদের চিঠি দিচ্ছি।” তার মানে কি এই জুটিকেই পরের বার টিডি এবং কোচ রাখছে মোহনবাগান? দেবাশিসবাবু সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। বললেন, “সেটা বলার সময় আসেনি। মোহনবাগানে এত আগে কিছু ঠিক হয় না।” কিন্তু এর আগে তো কখনও এ ভাবে টিম গড়ার জন্য আপনারা কোচের মতামত জানতে চাননি। দেবাশিস বলেন, “এ বার চাইছি। দেখি ওঁরা কী চান।” সুব্রত আগেই জানিয়েছিলেন, এক জন মোহনবাগান প্রেমী হিসাবে কয়েক জন ফুটবলারকে পরের মরসুমে দলে নেওয়ার জন্য ক্লাবকে বলেছেন। এ দিন বললেন, “ক্লাব চিঠি দিক। তারপর সিদ্ধান্ত নেব, কবে তালিকা দেব।”
|
হলদিয়ার মেয়ে ঋতুপর্ণা দাস ব্যাডমিন্টনে জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন হলেন। জয়পুরে অনূর্ধ্ব ১৭-র ফাইনালে রেশমা কার্তিককে ২২-২০, ২১-১৪ হারিয়ে। মধুমিতা গোস্বামীর পরে জুনিয়রে বাংলা থেকে এই প্রথম কোনও মেয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন। বহু দিন আগে অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যাম্পিয়ন হন আরও কম বয়সিদের বিভাগে। ঋতুপর্ণা ছাত্রী গোপীচন্দের। কলকাতার গোপীচন্দ অ্যাকাডেমি থেকে গিয়েছেন হায়দরাবাদে। সেখানে ট্রেনিং নেন সাইনাও। ক্লাস নাইনের ছাত্রী ঋতুপর্ণা পরীক্ষার জন্য আসেন হলদিয়ায়। স্কুল থেকেও সাহায্য পান। জয়পুর থেকে ফোনে বললেন, “অনূর্ধ্ব ১৩ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম আগে। এ বারও ভাল লাগছে।” এ বার জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে।
|
পঞ্চায়েত যুব ক্রীড়া অউর খেল অভিযানের উদ্যোগে জাতীয় খো খো প্রতিযোগিতায় ছেলে এবং মেয়ে উভয় বিভাগে সেরা হল বাংলা। রবিবার শিলিগুড়ি হিন্দি হাই স্কুলের মাঠে ফাইনালে অনূর্ধ্ব ১৬ বিভাগের এই প্রতিযোগিতায় ছেলে এবং মেয়েরা প্রতিদ্বন্দ্বী মহারাষ্ট্রকে হারিয়ে দিয়েছে। বাংলা খোখো দলে শিলিগুড়ির ১১ জন রয়েছেন। তার মধ্যে ৫ জন মেয়েদের দলে। ছেলেরা মহারাষ্ট্রকে হারিয়েছে ১৬-১১ পয়েন্টে। মেয়েরা হারিয়েছে ১০-৬ পয়েন্টে। অন্য দিকে কাবাডিতে বাংলার ছেলেরা ফাইনালে দিল্লির কাছে ২৫-১২ পয়েন্টে হেরে রানার্স হয়েছে। খো খো তে বাংলার সোনা এবং কাবাডিতে রুপো জয়ের খবরে খুশি ক্রীড়া মন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়েছেন। মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব নান্টু পাল বলেন, “ক্রীড়া মন্ত্রী ফোন করে খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাতে বলেছেন। রাজ্য খো খো, কাবাডি সংস্থা এবং ক্রীড়া দফতরের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।”
|
এ বছরের পেশাদার টেনিস সার্কিটে প্রথম খেতাব জিতলেন সানিয়া মির্জা। ডাবলসে। পাটায়া ওপেন ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার রোডিওনোভাকে নিয়ে হারান তাইপে জুটি এইচ চান-ওয়াই চানকে। এক সেট পিছিয়ে পড়েও সুপার টাইব্রেকে। ৩-৬, ৬-১ (১০-৮)। বিশ্ব ডাবলস র্যাঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে ৭ নম্বর সানিয়ার এটা ১৩তম ডব্লিউটিএ ডাবলস খেতাব। সঙ্গে আছে ২০০৫ হায়দরাবাদ ওপেন সিঙ্গলস খেতাব এবং ২০০৯ অস্ট্রেলীয় ওপেন মিক্সড ডাবলস গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব।
|
অম্বর রায় ক্রিকেটে বিতর্ক বাঁধল শিবপুর ইনস্টিটিউট বনাম জগাছা অ্যাকাডেমি ম্যাচে। সিএবি-র আম্পায়ার ম্যাচে ছিলেন না। স্থানীয় আম্পায়ারদের দিয়ে ম্যাচ করাতে হয়। দ্বিতীয়ত, শিবপুর কোচ দেবু আচার্য-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, হেরে নিজের ক্রিকেটারকে মাঠে চড় মারার। স্থানীয় লিগে জর্জ টেলিগ্রাফকে (২৯৫) হারাল আনন্দবাজার (৩০৫)। ৮ উইকেট নিলেন সুবীর দে। অন্য ম্যাচে মনোহরপুকুর মিলন সমিতিকে (১৭১) ২৬১ রানে হারাল কালীঘাট (৪৩২-৭)।
|
• মহেশতলা কালিকাপুরের চট্টা শিক্ষা নিকেতনের বার্ষিক ক্রীড়া রবিবার অনুষ্ঠিত হয়। ৫৭ টি ইভেন্টে যোগ দেয় ৬০০ জন ছাত্র-ছাত্রী।
• রহড়া সঙ্ঘশ্রী অ্যাথলেটিক ক্লাবের পরিচালনায় ১৫তম ফুটবল টুর্নামেন্টে বন্দীপুর ফুটবল অ্যাকাডেমিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আদিবাসীবৃন্দ, ব্যারাকপুর। |