শিলিগুড়ি ম্যারাথনে ১ লক্ষ টাকা সেরার পুরস্কার জিতে নিল হায়দরাবাদের মহেশ কুমার। উত্তরবঙ্গ উৎসবের অঙ্গ হিসাবে রবিবার শিলিগুড়িতে ৪২ কিলোমিটার ওই ম্যারাথন প্রতিযোগিতা হয়। উত্তরবঙ্গের ৬ জেলা, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দৌড়বিদরা তো বটেই গায়দরাবাদ, মণিপুর, আমেদাবাদের মতো ভিন রাজ্য থেকেও অংশ নিয়েছিলেন উৎসাহীরা। সব মিলিয়ে ১৭৯ জন। দৌড় শেষ করতে মহেশের সব চেয়ে কম সময় লেগেছে ২ ঘন্টা ২৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড। দ্বিতীয় হোম বাহাদুরের সময় লেগেছে ১৯ সেকেন্ড বেশি। দু’ জনেই একই জায়গার বাসিন্দা। তৃতীয় পবন কুমার সেনাবাহিনী দিল্লিতে কর্মরত। তাঁর সময় লেগেছে ২ ঘন্টা ৩৩ মিনিট ২২ সেকেন্ড। দ্বিতীয় এবং তৃতীয়েরা পেয়েছেন ৫০ হাজার এবং ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার। সকাল ৮ টায় হাসমিচক থেকে পতাকা নেড়ে দৌড়ের সূচনা করেন জুন মাল্য, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সঙ্গে ফুটবলার অ্যালভিটো এবং পেন। সাত সকালে শহরে তখন হইহই ব্যাপার। ম্যারাথন দৌড়ের পর একই জায়গা থেকে শুরু হয়েছিল ‘ড্রিম রান’। |
৬ কিলোমিটার ওই ড্রিম রানে অংশ নিয়েছিলেন প্রচুর প্রতিযোগী। জুন মাল্য ছাড়া দৌড়ের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। দৌড়ের শেষে অগ্রণী ক্লাব প্রাঙ্গনে পুরস্কার দেওয়ার অনুষ্ঠান মঞ্চে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ঘোষণা করেন, “ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীদের মধ্যে ভাল সাড়া মিলেছে। এ বার থেকে এই দৌড় প্রতিযোগিতা প্রতি বছরই হবে। এর জৌলুসও বাড়ানো হবে।” ম্যারাথন দৌড় আয়োজক কমিটির সম্পাদক তথা কাউন্সিলার জয়দীপ নন্দী জানান, আয়োজনের কোনও খামতি রাখা হয়নি। প্রচারও করা হয়েছিল। বাইরে থেকে আসা প্রতিযোগীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। হাসমিচক থেকে ম্যারাথন দৌড়ের পথ ছিল হিলকার্ট রোড ধরে দার্জিলিং মোড়। সেখান থেকে জাতীয় সড়ক হয়ে সোজা খাপরাইল মোড়, নিউ চামটা চা বাগান হয়ে সুকনা। এর পর দাগাপুর হয়ে ফের দার্জিলিং মোড়-ভক্তিনগর থানা লাগোয়া চেকপোস্ট মোড় হয়ে ইস্টার্ন বাইপাস দিয়ে ফুলেশ্বরী আন্ডারপাস। |
ফুলেশ্বরী সেতু পেরিয়ে এনটিএস মোড়, তরাই স্কুলের সামনে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে যাওয়ার রাস্তা হয়ে অগ্রণী ক্লাব প্রাঙ্গনে শেষ হয়। ম্যারাথনে চতুর্থ এবং পঞ্চম হয়েছেন কালিম্পংয়ের রুনেশ তামাং এবং বাহাদুর গুরুঙ্গ। তাঁদের সময় লেগেছে ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড এবং ২ ঘন্টা ৩৬ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বুধিয়া খেড়িয়া ষষ্ঠ। শিলিগুড়ির কলেজপাড়ার বাসিন্দা রথীরাম সাইনি অষ্টম স্থানে। তাঁর আগে রয়েছেন কালিম্পংয়ের রামবাহাদুর। চতুর্থ এবং পঞ্চমদের জন্য ১০ এবং ৫ হাজার টাকা পুরস্কার। ষষ্ঠ থেকে দশম ৩ হাজার টাকা করে। কালিম্পংয়ের অপর প্রতিযোগী কমল শ্রেষ্ঠ দশম স্থানে রয়েছেন। স্বপ্নের দৌড়ে পুরুষ এবং মহিলাদের আলাদা ভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন প্রদীপ কুমার এবং যুথিকা সরকার। প্রদীপ সময় নেন ২৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের মতো। যুথিকার সময় লেগেছে ৩০ মিনিট ৬ সেকেন্ড। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম পুরুষদের মধ্যে বাবো সিংহ, মোহন সিংহ, প্রকাশ কেরকেট্টা, মনোজ ভাদওয়াল। মহিলাদের মধ্যে কমল কুমারী, সুনিতা রাজঘর, জলি শাহ, ববিতা দাস। সেরারা পেয়েছেন ৫ হাজার টাকা করে। দ্বিতীয় ৩, তৃতীয় ২, চতুর্থ ১ হাজার ও পঞ্চম ৫০০ টাকা।
|
ছবি দু’টি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক। |