চলতি সফরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত প্রথম বড় জয় পেলেও টিম ইন্ডিয়া-র ড্রেসিংরুমে বিতর্কের কালো মেঘ থেকে গেল। একে তো তেন্ডুলকরকে ধোনির রোটেশন নিয়মে রবিবারের ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়াটাকে রবি শাস্ত্রীর মতো বিশেষজ্ঞরা মানতে পারছেন না। তার উপর ম্যাচ জিতে উঠে ভারত অধিনায়ক এবং তাঁর সেরা ক্রিকেটার গম্ভীরের মন্তব্যে মোটেও এক সুর পাওয়া গেল না।
বিশ্বকাপ ফাইনালের মতোই এ দিন ছয় মেরে ভারতকে জেতান ধোনি। বলেন, “এই ছয়টা ভীষণ স্পেশ্যাল। ওই সময় ছয়টার গুরুত্বও আলাদা। কাপ ফাইনালের ছয়টারও আলাদা মাত্রা। কিন্তু ফাইনালটা সিঙ্গলস নিয়েও জিততে পারতাম।” বুঝিয়ে দেন ওয়াংখেড়ের চেয়ে অ্যাডিলেডে দলকে শেষ মুহূর্তে জেতানোর পরিস্থিতিটা আরও কঠিন ছিল তাঁর কাছে। |
ধোনি এ কথা বললেও গৌতম গম্ভীর অবশ্য অন্য মত দিচ্ছেন। “খেলাটা ৪৮ ওভারেই শেষ করে দেওয়া উচিত ছিল। এটা অবশ্যই আমার নিজস্ব মত। তবে শেষ পর্যন্ত মাঠে যারা ছিল সিদ্ধান্তটা তাদেরই নিতে হত। জানি না ধোনি কেন এত দেরি করল। আমি থাকলে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ টানতাম না।” খানিকটা অপ্রত্যাশিত ভাবে অধিনায়কের নাম করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ম্যাচের সেরা গম্ভীর। ধোনির বিশাল ছক্কা নিয়ে গম্ভীর অবশ্য বলেছেন, “ধোনি খুব ভাল ফিনিশার। মাথাটাও চাপের মুখে ঠান্ডা রাখে।” তা সত্ত্বেও গম্ভীরের মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা হতে পারে দলে।
ধোনি আবার এ দিনও তাঁর ব্যাটসম্যানদের শট নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেন, “এই ম্যাচে আমরা এমন কিছু শট খেলেছি, যা খেলা উচিত হয়নি। এই ভুলগুলো শুধরোতে হবে।” গম্ভীর আউট হওয়ার পর তাঁর কী স্ট্র্যাটেজি ছিল তা-ও বলেছেন। “ওই সময় অস্ট্রেলিয়া যথেষ্ট ভাল বল করছিল। তাই ঠিক করি, ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত টানতে হবে। তা হলেই খারাপ বল পাব আর মারার সুযোগও আসবে,” বলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। |