|
|
|
|
প্রাক্তন সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে তছরুপের নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিপিএমের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে শালবনির গড়মালে। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে মহকুমাশাসকের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন বিডিও। চিঠি পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত), জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকের কাছেও। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রধানের কাছে প্রথমে অর্থের হিসেব চাওয়া হবে। সদুত্তর না পেলে তাঁর নামে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।
শালবনি ব্লকের গড়মাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএম প্রধান জগন্নাথ মাহাতোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সব মিলিয়ে ২০ হাজার ৯৭৮ টাকার কোনও হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। পঞ্চায়েতের অডিটেই বিষয়টি ধরা পড়েছে। ওই পরিমাণ টাকা পঞ্চায়েতের কোষাগার থেকে নেওয়া হলেও পরে তা আর জমা দেওয়া হয়নি। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, অডিট রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনেই চলতি মাসের ২ তারিখ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠান শালবনির বিডিও জয়ন্ত বিশ্বাস। ৮ তারিখ ওই চিঠি এসে পৌঁছয় মহকুমাশাসকের দফতরে। চিঠি পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সাগর সিংহ ও জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক মুফতি সওকত সামিমের কাছেও। বিডিও বলেন, “উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হচ্ছে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত কোষাগারের ২০ হাজার ৯৭৮ টাকা কেন তোলা হয়েছিলতা বোঝা যাচ্ছে না। ওই সূত্রই জানাচ্ছে, এমন ঘটনায় বিডিও নিজেই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেন। অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকের বক্তব্য, “এখনও চিঠি পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হবে।” অন্য দিকে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে জানি না। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি।” |
|
|
|
|
|