পুকুর থেকে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে সংস্কারের অভাবে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী পুকুর সংস্কারের জন্য প্রশাসন ও পুরসভাকে জানিয়েও লাভ হয়নি। প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে অবরোধ করলেন রামপুরহাটের ১১, ১৩, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। রবিবারও এই অবরোধ ওঠেনি। স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিয় সেন, বিমল দাস, অভিজিৎ দাসরা বলেন, “তিনটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা চালধোয়ানি পুকুরের জল ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন আগে ওই পুকুরের জল রান্নার কাজেও ব্যবহার করতেন। পাঁচ বছর আগে কচুরিপানা পরিষ্কার করার পরে জলে দূষণ বাড়ছে।” তাঁদের ক্ষোভ, “এলাকায় বাস করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। |
এই পুকুর ঘিরে ক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র। |
রাতে জানালা খুলে রেখে ঘুমনো যায় না। কিছু দিন আগে এলাকার আরও একটি পুকুরের জল ব্যবহার করায় গেটের রোগে অনেকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।” গৃহবধূ হাসি সাহা, রাধারানি মণ্ডলরা বলেন, “ওই জলে বেশিক্ষণ হাত, পা ডুবিয়ে রাখলে চুলকায়। অবিলম্বে পুকুর সংস্কার না হলে রোগ ছড়াবে।” ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরওয়ার্ড ব্লকের স্বপন দত্ত বলেন, “শহরে চালধোয়ানি পুকুরের একটি ঐতিহ্য আছে। এলাকার মানুষ নানা কাজে এই পুকুরের জল ব্যবহার করে আসছেন। তবে অবিলম্বে এই পুকুর সংস্কার করার প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষ প্রশাসন ও পুরসভায় গণসাক্ষরিত স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসছেন। বিধায়ক, সাংসদদেরও জানানো হয়েছে।” কিন্তু কারও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ স্বপনবাবুর। পুরপ্রধান তৃণমূলের নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা পরিস্থিতির কথা জানি। দেখা যাক কী করা যায়।” |