তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে শুক্রবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির খানাকুল এবং গোঘাটের দু’টি এলাকায়। দু’টি ঘটনায় আহত হন ১৮ জন। রবিবার রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে খানাকুলের ছত্রশালে দুই ব্যবসায়ীর টাকা নিয়ে বিবাদ গড়ায় স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয় পর্যন্ত। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোপীনাথ বেরার নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার সালিশি সভায় ঠিক হয়, এক ব্যবসায়ী অন্য জনকে টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু গড়বেড়িয়া গ্রামের তৃণমূল নেতা বিকাশ দাসের অনুগামীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় ছত্রশাল বাজারে এসে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানালে দু’পক্ষের বচসা বাধে। বিকাশবাবুকে চড়-থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ছত্রশাল বাজার এবং সংলগ্ন মুণ্ডেশ্বরী নদীর সেতুর উপরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১১ জন জখম হন। এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বিকাশবাবু বলেন, “আমাদের দলের কিছু বদমেজাজি ছেলের সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া সমর্থন করছি না।” গোপীনাথবাবু বলেন, “একটা সুষ্ঠু মীমাংসা করতে গিয়ে দলের ছেলেরা যে সংঘর্ষ বাধাবে, বুঝতে পারিনি।”
অন্য দিকে, গোঘাটের শ্যামবাজারের আমরাপাট গ্রামে এক সিপিএম কর্মীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত এক তৃণমূল কর্মীকে শুক্রবার সন্ধ্যায় দলেরই নেতা সাহাবুদ্দিনের ছেলেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে সাহাবুদ্দিন গোষ্ঠীর সঙ্গে দলের নেতা নিতাই নন্দীর অনুগামীদের সংঘর্ষ হয় গ্রামের একটি কীর্তনের আসরের সামনে। দু’পক্ষের জনা সাতেক জখম হয়। এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিতাইবাবুর দাবি, “সিপিএমের ছেলেরা আমাদের দলে ঢুকে গোলমাল করছে।” একই বক্তব্য সাহাবুদ্দিনেরও। গোঘাটের তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল বলেন, “কীর্তনে বিঘ্ন ঘটিয়েছে যারা, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ ঠিক নয়, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে ওই ঘটনা হতে পারে।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি ঘটনারই তদন্ত শুরু হয়েছে। |