যৌনপল্লি থেকে ২৫টি কিশোরীকে উদ্ধার করেছে আরারিয়া জেলার পুলিশ। সেখান থেকে ৫৬ জন পুরুষকে গ্রেফতার করা হলেও পরে ১৩ জনকে জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদের মূল পাণ্ডা এক মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভারারিয়া জেলার ফরসিবগঞ্জ থানা এলাকায় একটি পল্লিতে দেহব্যববসা চালানোর খবর পেয়ে আজ পুলিশ সেখানে হানা দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ২৫টি কিশোরীকে। এদের মধ্যে ছিল বিহার ছাড়াও নেপাল, পশ্চিবঙ্গ, এবং উত্তরপ্রদেশের মেয়েরা এই এলাকার থেকে দূরে কস্তুরবা আবাসিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি মেয়েকেও এখানে থেকে পাওয়া যায়। পুলিশ জানতে পেরেছে, এরা এই পল্লিতে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে। আরারিয়া জেলার পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাণ্ডে বলেন, “কিশোরীদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ১৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি ৪৩ জন পুরুষ ও মূল পাণ্ডা ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
অসমের মেয়ে উদ্ধার দিল্লিতে। গুয়াহাটির সংবাদদাতা জানান, ছয় মাস আগে অপহৃত অসমের এক বালিকাকে নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হল। ধরা পড়েছে ২২ বছর বয়সী অপহরণকারী মিন্টু শইকিয়া। মিন্টুর বাড়ি শোণিতপুর জেলায়। গত বছর অগস্ট মাসে অসমব্যাপী একটি নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যোরহাট এসেছিল মেয়েটি। সেখানেই দুইজনের আলাপ। ৫ অগস্ট থেকে মিন্টু ও মেয়েটির সন্ধান মিলছিল না। প্রথমে পুলিশ ঘটনাটিকে প্রণয়ঘটিত বলে সন্দেহ করলেও ১৭ জানুয়ারি মিন্টু দিল্লি থেকে মেয়েটির বাড়িতে ফোন করে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর পর,অসম পুলিশ, দিল্লি পুলিশের সাহায্য নেয়। দিল্লি পুলিশ জানতে পারে, মিন্টু মেয়েটিকে নয়দা এলাকায় আটকে রেখেছে। পুলিশ পিছু নিয়েছে জানতে পেরে মিন্টু মেয়েটিকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। শুক্রবার পুলিশ মিন্টুকে গ্রেফতার করে। |